অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহার করে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার কাহিনী আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু বিপন্মুক্ত করার বদলে সেই একই ডিভাইস যখন সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন ব্যাপারটা যে খুব একটা সুবিধের হয়না, সেটা সহজেই বোঝা যায়। আসলে গতবছর খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করে একজন নাগরিকের ৫,০০,০০০ ডলার লুট করার ঘটনা জনসমক্ষে আসে। যদিও সেসময় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ মানুষ জানতে পারেনি। কিন্তু সম্প্রতি ঘটনাটি পুনরায় আলোচনায় উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে যারা চর্চা করছেন তাদের অধিকাংশই অন্তত একটা বিষয়ে সহমত যে অ্যাপলের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে টাকা লুটপাটের এমন কান্ড আগে কখনোই ঘটতে দেখা যায়নি।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট -এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে আমেরিকার কানেক্টিকাট প্রদেশে সংঘটিত উপরোক্ত অর্থ ডাকাতির ঘটনায় মোট সাত জন দুষ্কৃতির যোগ ছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে আক্রান্তকে অনুসরণের পর দুষ্কৃতিরা তাকে লুট করে। অনুসরণে সুবিধার জন্য দুষ্কৃতিদল আক্রান্তের গাড়িতে বাম্পারের নীচে একটি অ্যাপল ওয়াচ লুকিয়ে রাখে। এর মাধ্যমে তারা আক্রান্তের ঠিকানা ও অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য জেনে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায় প্রথমে দুষ্কৃতিরা অ্যাপল ওয়াচ কেনার পর সেটিকে নিজস্ব AT & T অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করে। এরপর তারা ঘড়িটিকে আক্রান্তের গাড়ির বাম্পারে লুকিয়ে রাখে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ঘটনাটি ঘটে, যে সময় কাউকে ট্র্যাক করার জন্য অ্যাপল ওয়াচ ছিল একমাত্র উপযুক্ত ডিভাইস। তখনো অ্যাপল এয়ারট্যাগ বাজারে আসেনি।
এখন সবকিছু শোনার পর পাঠকের মনে যদি প্রশ্ন জেগে থাকে যে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করে ঠিক কিভাবে কাউকে ট্র্যাক করা সম্ভব? তাহলে বলি, আইফোনে ফাইন্ড মাই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে খুব সহজেই এই কাজ করা সম্ভব। অ্যাপল ওয়াচ চুরি বা হারিয়ে যাওয়া রুখতেও ব্যবহারকারীরা ফাইন্ড মাই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফাইন্ড মাই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলে জিপিএস ও সেলুলার ফিচার সম্পন্ন অ্যাপল ওয়াচ জিপিএস, ভরসাযোগ্য ওয়াইফাই বা সেলুলার নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবহার করে তার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে দেয়।”