কিছুদিন আগেই লঞ্চ হয়েছে মাইক্রোসফ্ট এর লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১। কিন্তু নজরকাড়া ডিজাইন, ফিচার বা উন্নত পারফরম্যান্স সঙ্গে নিয়ে এলেও, লঞ্চের সময়ে এই উইন্ডোজ ভার্সনের আপডেট প্রক্রিয়াকে ঘিরে যে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার জেরে অস্বস্তিতে পড়েন একাংশ ইউজার।
কারণ তারা জানান, কেবল উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা (যদিও কিছু রিপোর্টে Windows 7 ও 8.1 এর কথাও উল্লেখ করা হয়) সরাসরি নতুন অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট পাবে। তবে এখন উইন্ডোজ ইউজারদের জন্য একটি বড় ঘোষণা করেছে। তারা তাদের আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে এবং জানিয়েছে, তারা ইউজারদের পুরোনো পিসিতে (যাতে প্রয়োজনীয় সিস্টেম কনফিগারেশন নেই) উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করা থেকে বিরত করবে না। যদিও আপডেটের কোনোরকম দায় নেবেনা উইন্ডোজ !
মাইক্রোসফ্ট, এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তাদের জন্য নিয়েছে, যারা পুরোনো মেশিনে ম্যানুয়ালি উইন্ডোজ ১১ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে চান। তবে সমস্ত পুরোনো মেশিনেই আপডেট মিলবে বা সিস্টেমের কোনো বিধি নিষেধ থাকবে না, এমন নয়। তাছাড়া, দ্য ভার্জ জানিয়েছে যে সংস্থার এই সিদ্ধান্ত সিপিইউগুলিকে উইন্ডোজ ১১ সমর্থন করতে সক্ষম করবে বটে, তবে তা কেবল মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে, যারা ওএস আপগ্রেড করবেন তাদের কিছুটা ঝুঁকি থাকবেই।
মাইক্রোসফট বলেছে যে, এই ডিভাইসগুলিতে ইনস্টল করা উইন্ডোজ ১১ ভার্সন সিকিউরিটি প্যাচ সম্বলিত আপডেটের জন্য যোগ্য হবে না। ফলে মেশিন ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের শিকার হলে মাইক্রোসফট ইউজারকে সাহায্য করবে না। আর সিকিউরিটি আপডেট ছাড়া, পিসি ব্যবহার করা অস্বস্তির ব্যাপার হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, উইন্ডোজ ১১ ম্যানুয়ালি ইনস্টল করার অর্থ ইন্টারনেট থেকে একটি ISO ফাইল ডাউনলোড করে পিসিতে বুট করা; যা করতে একজনের ভালো রকম জ্ঞান থাকা চাই। তাই এই বিষয় সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ইউজারদের এই ধরণের চেষ্টা করা উচিত নয়। তাছাড়া পুরানো পিসি ইউজারদের এই আপডেট পেতে হলে নূন্যতম কোর-লেভেল প্রয়োজনীয়তা (৬৪ বিট ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ ইত্যাদি) পূরণ করতে হবে।