ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার নিয়ে স্লোগান বা ট্যাগলাইন লিখে ফ্রি এসি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ব্লেন্ডার পেয়েছেন তিনজন। ওয়ালটনের ‘ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জ সিজন-১’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনে ওই পুরস্কার পেলেন তারা। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার মিরপুরের অজুফা আক্তার, চট্টগ্রামের সালমান রহমান এবং নোয়াখালীর জিকো রড্রিক্স।
জানা গেছে, ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এতে ২ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। ওই রাউন্ডে সেরা ৩টি ট্যাগলাইন বা স্লোগান বাছাই করা হয়েছে। সেরা ট্যাগলাইনার হিসেবে অজুফা ওয়ালটন এসির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, ‘ওয়ালটন স্মার্ট এসি, খরচ কম ঠা-া বেশি।’ সালমান লেখেন, ‘গরম যখন চরমে, ওয়ালটন এসি নিয়ে থাকুন আরামে।’ অন্যদিকে জিকোর ট্যাগলাইন হলো, ‘অস্থির গরমে স্বস্তির ছোঁয়া।’
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১) পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাছে উপহার হস্তান্তর করা হয়। ওয়ালটন থেকে পাওয়া এসিটি অজুফা আক্তারের বাসায় বিনামূল্যে ইনস্টল করে দেয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় বিচারকমন্ডলীর মধ্যে ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও আমিন খান।
ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ট্যাগলাইন কিংবা স্লোগানগুলো গুগল ফর্মের মাধ্যমে, ওয়ালটন এসির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ-এ কমেন্ট এবং মেসেজের মাধ্যমে জমা দিয়েছেন। এরপর ওয়ালটন স্মার্ট এসি’র ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জের ফটো ব্যানারটি নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন। একই ট্যাগলাইন বা স্লোগানের জন্য একাধিক অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে প্রথম জমা প্রদানকারীই প্রাধান্য পেয়েছেন। ওয়ালটন এসি নিয়ে ট্যাগলাইন বা স্লোগান বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই জমা দিয়েছেন তারা। প্রতিষ্ঠানের বা পণ্যের তথ্যের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির জন্যই এমন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনটি চলে ৩১ মে ২০২১ পর্যন্ত।
হুমায়ূন কবীর বলেন, করোনাকালে লকডাউনের সময় অধিকাংশ মানুষই বাসায় সময় কাটাচ্ছিলেন। সেসময়ে ওয়ালটন এসি বিভাগ তাদেরকে সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত রেখে কর্মদক্ষতা ও মেধা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়। যার প্রেক্ষিতে ওই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। খুব দ্রুত ক্যাম্পেইনটি সবার নজর কাড়ে। ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় শিগগিরই ‘ক্রিয়েটিভিটি চ্যালেঞ্জ সিজন-২’ শুরু করতে যাচ্ছে ওয়ালটন।
স্লোগান লিখে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে অজুফা আক্তার বলেন, লকডাউনে গরমের মধ্যেই হোম অফিস করছিলাম। একদিন সোস্যাল মিডিয়া ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে ওয়ালটনের ট্যাগলাইন লেখা সংক্রান্ত বিষয়টি চোখের সামনে আসে। তখনই লিখে ফেললাম ট্যাগলাইনটা। আমি ভুলে গিয়েছিলাম ওয়ালটনের এমন একটি ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছি। হঠাৎ ওয়ালটনের পক্ষ থেকে জানানো হলো আমি প্রথম হয়েছি এবং পুরস্কার হিসেবে একটি এসি পেয়েছি। ওয়ালটনের টেকনিক্যাল টিম এসে আমার বাসায় এসিটি ইনস্টল করে দিয়েছে। আমি সত্যিই সারপ্রাইজড। এই গরমে আমাকে আর কষ্ট করতে হবে না। ওয়ালটনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জিকো রড্রিক্স বলেন, জীবনে এই প্রথম কোনো পুরস্কার পেলাম। ফেসবুকে চোখ বোলাতে গিয়ে ওয়ালটনের ট্যাগলাইন লেখা সংক্রান্ত বিষয়টি সামনে আসে। বিষয়টা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনের পণ্য পছন্দ করি। দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই ব্র্যান্ডের প্রতি আলাদা ভালোলাগা কাজ করে। ফ্রিজ, টিভিসহ বাসায় বহু পণ্যই ওয়ালটন থেকে কেনা। সেগুলো খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, এসি ক্রেতাদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ‘এসি এক্সচেঞ্জ অফার’ এর আওতায় যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে গ্রাহক তার পছন্দকৃত নতুন ওয়ালটন এসির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। ক্রেতারা ঘরে বসে ফোন করলেই কাছাকাছি প্লাজা অথবা ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। রয়েছে ফ্রি ইন্সটলেশন।
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গৃহকে সুরক্ষিত রাখতে ডুয়েল ডিফেন্ডার, আয়োনাইজার, ইউভি (আল্ট্রা ভায়োলেট) কেয়ার প্রযুক্তি সম্বলিত এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের ইনভার্না এসির ইকো-মুডে প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুৎ খরচ পড়ছে মাত্র ২ টাকা ৮৮ পয়সা। যা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট সার্টিফাইড। রয়েছে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্মার্ট এসি। এছাড়া সম্প্রতি ওশেনাস সিরিজের ভয়েস কন্ট্রোল এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। রিমোটের পাশাপাশি কথা বলেই ওই এসি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কনফারেন্স হলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট এবং সিলিং টাইপ এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আবাসিক ভবন, ফ্ল্যাট বাড়িসহ ছোট-বড় সব ধরনের স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের আছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার। আর গৃহে ব্যবহারের জন্য রয়েছে অসংখ্য মডেলের ১, ১.৫ ও ২ টনের স্পিøট টাইপ এসি। এসব এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তম সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ান ও সার্ভিস এক্সপার্টগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।