দক্ষিণ কোরিয়ার ১১০টিরও বেশি ব্যবসায়িক গোপনীয় তথ্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে পাচার হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে দেশটির বিদেশী প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে এসব তথ্য পাচারের ঘটনা ঘটে। পাচারকৃত এসব তথ্যের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সেমিকন্ডাক্টর ও ডিসপ্লে খাত। খবর দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ব্যবসায়িক গোপনীয় তথ্য পাচারের সংখ্যা ১১২টি। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য কিম কিউং ম্যান কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে এমনটা দেখা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি-সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় এসব তথ্য সংগ্রহ করে।
শিল্প খাত হিসেবে চিপ উৎপাদন শিল্প-সংক্রান্ত যেসব তথ্য পাচারের শিকার হয়েছে সেসবের সংখ্যা ১৫টি। দক্ষিণ কোরিয়ার মোট রফতানি খাতে ২০ শতাংশ অবদান রাখে চিপ শিল্প। পাচার হওয়া তথ্যের মধ্যে ডিসপ্লে-সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে ২৭টি। বাকি তথ্যগুলো জাহাজনির্মাণ এবং অটোমোবাইল শিল্প-সংক্রান্ত। এসবের মধ্যে ১৪টি জাহাজনির্মাণ ও আটটি অটোমোবাইল প্রযুক্তি-সংক্রান্ত তথ্য পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
পাচার হওয়া এসব তথ্যের মধ্যে ৩৫টি মূল প্রযুক্তি-সংক্রান্ত তথ্য ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে এসব তথ্য পাচারের ঘটনা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, পাচার হওয়া এসব তথ্যের অর্ধেকের বেশি তথ্য ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের কোম্পানি-সংক্রান্ত। এছাড়াও বিভিন্ন কনগ্লোমারেটের তথ্য ছিল ৩৬টি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নয়টি তথ্য পাচারের শিকার হয়েছে।