গ্রাহকের ডেটা সংগ্রহ আর সেন্সরশিপ ক্ষমতার এই অভিযোগ উঠেছে চীনের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির বিরুদ্ধে। ব্যবহারকারীর উপর সেন্সরশিপ খাটানোর ক্ষমতা আছে চীনের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি ডিভাইসে। অভিযোগ উঠেছে ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করে এনক্রিপ্টেড অবস্থায় আলাদা সার্ভারে পাঠাচ্ছে স্মার্টফোনগুলো।
চীনা নির্মাতাদের ফোনের এই গোপন বিষয়গুলো উন্মোচনের পর নিজ দেশের নাগরিকদের ওই নির্মাতাদের ফোন কেনা থেকে বিরত থাকা এবং পুরনো ফোনগুলো ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শাওমির ফোনে বিল্ট-ইন সেন্সরশিপ ফিচার এবং হুয়াওয়ের ফোনে নিরাপত্তা দুর্বলতার বিষয়টি উঠে এসেছে লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ইউরোপে বাজারজাতকৃত শাওমির ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে ‘তিব্বত মুক্ত করো (Free Tibet)’, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবি হোক (Long live Taiwan independence)’ এবং ‘গনতন্ত্র আন্দোলন (democracy movement)’-এর মতো স্লোগান চিহ্নিত করে সেন্সর করার বিল্ট-ইন ক্ষমতা আছে।
লিথুয়ানিয়া সরকার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপীয় বাজারের জন্য সেন্সরশিপ ফিচারটি বন্ধ করে রাখা হলেও সেটি যে কোন সময় দূর থেকে চালু করে দেওয়া সম্ভব।
দেশটির ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের ওই প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, শাওমির ফোনগুলো ব্যবহারকারীদের ডেটা এনক্রিপ্ট করে সিঙ্গাপুরের একটি সার্ভারে পাঠাচ্ছে। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হুয়াওয়ে ফোনগুলো ব্যবহারকারীদের ডেটা বাইরের কোনো সার্ভারে পাঠায় না বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বাল্টিক অঞ্চলের মুখপাত্র।
চীনের ঘোষত নীতিমালা অনুসারে অবৈধভাবে মানুষের ডেটা সংগ্রহ করা ও বড়-মাপের নজরদারি চালানোকে আইনবিরুদ্ধ ।