জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির অজুহাতে ২০১৯ সালে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি বছরের শুরুতে বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব নিলেও এখনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কিংবা শিথিলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। খবর গিজমোচায়না।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বর্তমান হোয়াইট হাউজ অনেক বিষয়ে পুরো ভিন্ন পলিসি নিলেও চীন ইস্যুতে একই সমতলে অবস্থান করছে বলে মনে হচ্ছে। এমনকি বাইডেন প্রশাসন বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালান এস্তেভেজ জানান, তারা অনর ডিভাইস কোম্পানির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। অনরের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরিতে হুয়াওয়ে আন্তরিক কিনা সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
এদিকে হুয়াওয়ে বলছে, নিষেধাজ্ঞার ফলে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ স্বল্পতার কারণে স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারিং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা আরো জানায়, অনরের ব্যবসা পরিচালনা কিংবা ব্যবস্থাপনায় নেই হুয়াওয়ে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটিতে এখন তাদের শেয়ারও নেই।
গত মাসে বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে অনর নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কয়েকজন আইনপ্রণেতা। সে কারণে অনরের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যতদিন পর্যন্ত হুয়াওয়েকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করবে, ততদিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবে—হোয়াইট হাউজে যে প্রশাসনই থাকুক না কেন। তার মানে দাঁড়াচ্ছে সামনের দিনগুলোতেও লোকসানের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছে না চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি।