রিংআইডি এমএলএম মডেল অনুসরণ করে ব্যবসা করলেও নিজেদের এরা ‘কমিউনিটি ব্যবসা’ বলে দাবি করে। প্ল্যাটফর্মটিতে নতুন সদস্য আনতে পারলে পুরনো সদস্যদের ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দেওয়ার অফার দেওয়া হয়। এভাবেই প্ল্যাটফর্মটি সদস্য বাড়ায়।
বিজ্ঞাপন দেখা ও শেয়ার করা, নতুন সদস্য আনা, প্ল্যাটফর্মটির পণ্য বিক্রি ও রিংআইডি মুদ্রা লেনদেনের জন্য শিক্ষার্থীদের টাকা দেয় প্ল্যাটফর্মটি।মোটা আয়ের অফারে আকৃষ্ট হয়ে পুরনো সদস্যরা তাদের পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং পরিচিতদের রিংআইডি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসেন।
কমিউনিটি জবের ব্যান্ড প্রমোটারের অধীনে রিংআইডি দুই ধরনের সদস্যপদ দেয়—সিলভার ও গোল্ড।সিলভার ক্যাটাগরির মেম্বারশিপের জন্য রিংআইডি ১২ হাজার টাকা চার্জ নেয়। এই ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন ৫০টি বিজ্ঞাপন দেখে ২৫০ টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। গোল্ড ক্যাটাগরির সদস্যপদ কেনার জন্য খরচ করতে হয় ২২ হাজার টাকা। এই ক্যাটাগরির সদস্যরা দিনে ১০০টি বিজ্ঞাপন দেখে ৫০০ টাকা আয়ের সুযোগ পান।
সিলেটের রিংআইডি এজেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই সিস্টেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট খরচ বাদে একজন সিলভার সদস্য মাসে ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং গোল্ড সদস্য ১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
অর্থ লেনদেন হয় বিকাশ, নগদ, রকেট, শিউরক্যাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে। এ ব্যবসায় একটা মোবাইল নম্বর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা রিংআইডির নিজস্ব এজেন্টদের মাধ্যমেও লেনদেন হয়।
সূত্র জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে এখন ৬০০-র বেশি এজেন্ট রয়েছে। এজেন্ট রয়েছে তিন ক্যাটাগরির—সিলভার, গোল্ড ও ডায়মন্ড।
অর্থের বিনিময়ে এসব এজেন্ট নেয় প্রতিষ্ঠানটি। সিলভার, গোল্ড ও ডায়মন্ড ক্যাটাগরির এজেন্ট হওয়ার জন্য যথাক্রমে ১ লাখ, ২ লাখ ও ৫ লাখ টাকা নেয় রিংআইডি।
এছাড়াও রিংআইডি অ্যাপে কোম্পানিটির ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন ব্যবসাও রয়েছে।
প্রতি কয়েনের মূল্য ৮৬ টাকা। সদস্যরা এসব কয়েনকে টাকায় রূপান্তরিত করতে পারেন এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমে এসব টাকা ওঠাতে পারেন।