নিম্ন আয়ের মানুষকে অন্তর্ভূক্তি মূলক ডিজিটাল অর্থনীতিতে সংযুক্ত করতে এটুআই এর উদ্যোগে উন্মুক্ত হলো ফিনল্যাব বিডি। ২৪ অক্টোবর ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই প্লাটফর্মটির উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গত ১২ বছরে সরকারের নানা ডিজিটাল উন্নয়ন চিত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি করোনার সময়ে কীভাবে প্রযুক্তি দেশের অর্থনীতি ও জীবন যাপনকে সচল রাখে সেই বাস্তবতা তুলে ধরেন তিনি। তুলে ধরেন, ২০৪১ সালে দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে সমতা আনায়নের ওয়াই-ফাই প্রকল্পের কথা।
তিনি বলেছেন, সরকারি সেবা সবখানে সবসময় প্রত্যয় নিশ্চিত করতে আগামী বছরেই সরকারি ক্লাউড বা জি ক্লাউড চালু করা হবে।
পলক বলেন, সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। এজন্য দেশের তরুণদের নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তির স্ফূটন ও বিকাশে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।
দেশের ফিনটেক খাতে তরুণদের পাশে থাকতে ফিনটেক ল্যাব বিডি’কে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন প্রতিমন্ত্রী তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতির যে কাঠামো তৈরি করেছে তার বিকাশে অবদান রাখবে ফিনল্যাব। এই ল্যাব ব্যবহার করে এই খাতের যেসব সমস্যা রয়েছে তার সমাধানে তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকেরা ইতিবাচক সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে তহবিল সংস্থানসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে আইসিটি বিভাগ।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী, ইউএনসিডিএফ প্রতিনিধি মারিয়া পারডোমো, মাইক্রো সেইফ করপোরেশন (এমএসসি) পার্টনার অনিল কুমার গুপ্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল।
এটুআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার তৌহিদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো সংযুক্ত ছিলেন সেবা প্লাটফর্মের কো-ফাউন্ডার ইমরুল হক সজীব, ইউপে সিইও সাইয়েদুল হক খন্দকার, এমএসসি প্রতিনিধি সম্ভিত সাহু এবং মেটলাইফ এশিয়ার পরিচালক কৃষ্ণ থাকার।