দেশের মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। নতুন নতুন অফারের ফাঁদে ফেলে কৌশল গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন দিয়ে বোকা বানাচ্ছে গ্রাহকদের। যথাযথ নজরদারি না থাকায় ও অধিপত্য কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে বর্তমানে ২২টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সবথেকে এগিয়ে বিকাশ। সম্প্রতি বিকাশের ‘প্রিয়’ এক অফারকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। বিকাশ এই প্রিয় অফারকে অপ্রিয় হিসেবে দেখছেন অনেকেই ।
বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক টাকা স্থানান্তর বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান । ২০১১ সালে যাত্রা শুরু থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রতিষ্ঠানটিকে । বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান বিকাশের জনপ্রিয়তা সঙ্গে অভিযোগের জমেছে পাহাড় পরিমাণ। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ অতিরিক্ত চার্জ আদায় । সম্প্রতি তাদের ক্যাশ আউট খরচ কমানোর বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিকাশ । তবে গ্রাহকদের প্রশ্ন আসলেই কি বিকাশ ক্যাশ আউট খরচ কমানো হয়েছে হয়েছে । লাখ লাখ এজেন্ট নাম্বারের মধ্যে কয়েকজনকে নিয়ে গাহক কতটুকু সুবিধা পাবে, এটি আসলে কি সেবা নাকি অতিরিক্তমুনাফা করার অপকৌশল এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরছে গ্রাহকদের মাথায় ।
নতুন এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় একজন গ্রাহক একটি প্রিয় এজেন্ট নাম্বার এর ক্যাশ আউট করলে ১৪ টাকা ৯০পয়সা খরচ হবে। তবে গ্রাহক রয়েছে এক মাসের আগে প্রিয় এজেন্ট নাম্বার টি পরিবর্তন করতে বা নতুন এজেন্ট নাম্বার সংযুক্ত করতে পারবে না। আবার একজন গ্রাহক প্রিয় এজেন্ট নাম্বার থেকে মাসের মাত্র ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করতে পারবেন। আবার পরবর্তীতে ২৫ হাজার টাকার উর্ধে ক্যাশ আউট করলে তাকে ১৮ টাকা ৫০পয়সা ক্যাশ আউট চার্জ দিতে হবে। এবং প্রিয় এজেন্ট নাম্বার ব্যতীত অন্য সকল নাম্বারে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা চার্জ দিতে হবে যা এই অফারের পূর্বে ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। তারমানে এখান থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় অফার দিয়ে বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ কমানো নাকি বাড়ালো।
বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ কমানোর বিষয় ধানমন্ডির একজন বিকাশ গ্রাহক জানান, বিকশ মনে করে আমাদের দেশের মানুষকে খুব সহজেই ঠকানো যায় আর ঠিক এই কাজটি করে চলেছে তারা । তারা চার্জ কমানোর নামে আরো ১ টাকা চার্জ বাড়িয়েছে । আর বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে চার্জ কমানোর । যথাযথ নজরদারি না থাকায় তারা এই কাজগুলো করতে পারছে।
ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, সব জায়গায় বিকাশের সেবা পাওয়া যায় বলেই দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিকাশের সেবা নিচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে যেখানে দেশের অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো থেকে অনেক বেশি। আমার তো মনে হয় জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে খরচ বাড়ছে বিকাশ।
বিকাশের গ্রাহকদের অভিযোগ পূর্বে দেশের যে কোন স্থান থেকে কয়েক লক্ষ এজেন্ট দের কাছ থেকে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা খরচ করে ক্যাশ আউট করা যেত প্রতি হাজারে। এখন মাত্র একজনের কাছ থেকে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা খরচ হবে বাকি সবার কাছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা খরচ হবে। আমরা যারা বিকাশ ব্যবহার করি তারা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারি সেই কারনে ব্যবহার করি যদি একটা নাম্বার সিলেক্ট করে লেনদেন করতে হয় তাহলে তো ব্যাংকে করা ভাল কেন মোবাইল ব্যাংকিং করবো বেশি টাকা খরচ করে ।