ফোন কেনার আগে এখন ক্যামেরা নিয়ে সবাই চিন্তাভাবনা করেন। কিন্তু অনেকেই ভালো ক্যামেরার ফোন চিনে উঠতে পারেন না। কেউ কেউ আবার ভাবেন বেশি বেশি পিক্সেল হলেই বুঝি ক্যামেরা ভালো হয়। ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তা নয়। যারা নতুন ফোন কিনতে যাচ্ছেন, তারা জেনে নিতে পারেন কীভাবে ভালো ক্যামেরার ফোন বাছাই করা উচিত।
মেগাপিক্সেলই সব নয়
বেশি মেগাপিক্সেল দেখেই ফোন ঠিক করে ফেলবেন না। ক্যামেরার দক্ষতা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। সঠিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, অটোফোকাস সক্ষমতা, ভালো ফ্ল্যাশ এবং জুম লেভেল খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কম আলোয় ভালো ছবি
এখনকার সময়ে অধিকাংশ ফোন কম আলোতে ভালো ছবি তুলতে দক্ষ। ভালো ক্যামেরার এটি অন্যতম একটি গুণ। বলা হয়ে থাকে কম আলোতে ছবি তুলতে পারাই একটি ক্যামেরার আসল দক্ষতার পরিচয়। তাই ফোন কেনার আগে কোনো বদ্ধ ঘরে কম আলোতে ছবি তুলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরাও এখন চলে এসেছে। এই ধরনের ক্যামেরা পরিবেশ বিবেচনায় সেটিংস নিজে নিজে ঠিক করে নেয়। কোন পরিবেশে কতটুকু জুম, লাইট কিংবা ফ্ল্যাশ লাগবে তা সে বুঝে নেয়।
সেন্সর
প্রোসেসর যদি ফোনের প্রাণ হয়, তাহলে সেন্সরকে বলা হয় ক্যামেরার হৃৎপিণ্ড। সেন্সর ভালো কাজ করলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব। সেন্সর বুঝতে হলে ক্যামেরার লাইট পরখ করে দেখতে হবে। যে সেন্সর বেশি লাইট সরবরাহ করতে পারে, সেই ক্যামেরাটি কেনা উচিত।
জুম
ফোনের ক্যামেরায় সাধারণত দুই ধরনের জুম ব্যবহার করা হয়: ডিজিটাল এবং অপটিক্যাল। যখন আপনি দূরের ছবি তুলতে যাবেন, তখনই জুম কাজে লাগে। বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল লেন্সের থেকে অপটিক্যাল লেন্সের ক্যামেরাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
প্রোডাক্ট প্রিভিউ
এখন আপনি বুঝে গেছেন কী কী দেখে ভালো ক্যামেরা নির্বাচন করা উচিত। এর পরেও কিছুটা দোটানায় আপনি পড়তে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট প্রিভিউ আপনাকে সাহায্য করবে। শোরুমে ফোনের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকে। কেনার আগে সেগুলো আপনার ভালো করে পড়া উচিত। অনেক সময় সাধারণ ক্রেতারা এসব বুঝে উঠতে পারেন না। অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সব জেনে নেওয়া উচিত।
আপনি যে ফোনটি কিনতে চান, সেটি আগে কে ব্যবহার করেছে, তার সঙ্গে কথা বলুন। শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ডের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আরও কয়েকটি যাচাই-বাছাই করুন। তাহলে আপনার কাজ সহজ হয়ে যাবে।