সুনামগঞ্জ ছাতকের এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল এবং একটি মোবাইল নিয়ে উধাও দুই কর্মী। মঙ্গলবার (২২ জুন) ওই দুই কর্মী (ডিএসও) উধাও হয়েছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডিজিটাল লেনদেন নগদের ডিস্ট্রিবিউট মেসার্স এস এস এন্টারপ্রাইজের পরিচালক শাহীন আহমদ বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা (নং-১৮, তারিখ- ২৩/০৬/২০২১ ইং)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছাতক পৌরসভার ছাতক বাজারের জাবা মেডিকেল সেন্টারের ৪র্থ তলায় অবস্তিত ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলার নগদের ডিস্ট্রিবিউট (মেসার্স এস এস এন্টারপ্রাইজ)’র (ডিএসও) কর্মী ছাতক পৌরসভার মন্ডলীভোগ গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমদের ছেলে ফয়েজ আহমদ (২৬), এবং অপরজন ছাতকের ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের গনেশপুর (জৈন্তাপুর) গ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশারের ছেলে মো. হামিদুল হক(২৪)। ওই দুই কর্মী মিলে ডিস্ট্রিবিউটরের ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল এবং নগদের একটি মোবাইল দিয়ে উধাও হয়েছেন।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডিজিটাল লেনদেন নগদ এর ছাতক-দোয়ারাবাজার উপজেলার ডিস্ট্রিবিউটর ক্যাশ ও ইলেক্ট্রিক মানি মোবাইলের মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকেন। যার ফলে ফয়েজ আহমদকে ছাতক লাফার্জ বাজার হইতে দোয়ারাবাজার এবং হামিদুল হককে ছাতক মোল্লাপাড়া বাজার হইতে টেবলাই বাজার সহ দোয়ারাবাজারের আশপাশ এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসকল এলাকার নগদের উদ্দোগতা পয়েন্ট থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকেন। সোম-মঙ্গলবার উদ্দোগতা পয়েন্ট এবং মেসার্স এস এস এন্টারপ্রাইজ’র ম্যানেজার শিপলু দাস এর নিকট হইতে সব মিলিয়ে ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। সর্বশেষ ২২ জুন মঙ্গলবার সকাল থেকে তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে উধাও দুই কর্মী
এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর থেকে ছাতক থানার ওসি সহ পুলিশের একাধিক টিম ওই কর্মীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।