মেহেবুব গত বছর চট্টগ্রাম নগরীর মনছুরাবাদে আবদুল হাকিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সেই সূত্রে উপবৃত্তি পাওয়ার কথা। স্কুল থেকে তার পিতার মোবাইল নম্বরও নিয়েছিল, নগদ একাউন্ট খোলার জন্য। দীর্ঘদিন তার পিতা আর কোন খবর পায়নি এবং স্কুল কর্তৃপক্ষও কিছু জানাই নি। মেহেবুব এর পিতা খবরের কাগজে দেখল উপবৃত্তির ২য় কিস্তির টাকা নগদ একাউন্ট-এ পাঠিয়ে দেয়া হবে।
স্কুলের শ্রেণি শিক্ষককের সাথে ফোনে কথা বলে জানলেন, তিন মাসের একটা কিস্তি নগদ একাউন্টে এসেছে, আপনি নগদ একাউন্ট খুললেই টাকা ঢুকে যাবে। কথামত একাউন্ট খুলতে গিয়ে তিনি দেখল তার মোবাইল নম্বরটিতে ইতিমধ্যে নগদ একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে। নগদ কাষ্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে নতুন পিন সেট করল। এরপর সে নগদ একাউন্ট-এ ঢুকে দেখল, ১ম কিস্তির টাকা ঢুকার ৭ দিন পরে সর্ম্পূণ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অথচ শিক্ষার্থীর পিতা নগদ এ্যাকাউন্ট বুঝে পেল গত শুক্রবার অর্থাৎ আরো ৭ দিন পর। বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম জিপিওতে নগদ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন প্রকার সদত্তর দিতে পারেনি।
এখন কথা হলো, এই অতি সামান্য কয়টা টাকাও সরকার থেকে উপবৃত্তিভোগী শিক্ষার্থী পর্যন্ত পোঁছাতে পারল না। তাহলে করোনাকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩৫ লক্ষ পরিবারকে যে ২৫০০ টাকা করে দিবেন, তার কত ভাগ এই পরিবারগুলো পাবে?