বাজারমূল্যের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কম্পানি অ্যাপল এখন তিন ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। সেটি ঘটলে অ্যাপলই হবে বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রথম তিন লাখ কোটি ডলার বাজারমূল্যের কম্পানি। শেয়ারের দাম আর মাত্র এক ডলার ১০ সেন্ট বাড়লেই কম্পানি হিসেবে অ্যাপলের বাজারমূল্য বেড়ে তিন লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হবে।
নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে গত সোমবার বহুজাতিক কম্পানিটির শেয়ারের দাম ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮১ ডলার ৭৫ সেন্ট। শেয়ারের দর ১৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে উঠলেই নতুন রেকর্ড হয়ে যাবে, যা শুধু সময়ের ব্যাপার। তবে বাজারমূল্যে তিন ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে পৌঁছাতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য কম্পানির আরো অনেক সময় লাগতে পারে। কারণ তারা এখনো এই মাইলফলক থেকে অনেক দূরে রয়েছে। যেমন বর্তমানে অ্যাপলের সবচেয়ে কাছে থাকা কম্পানি মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য প্রায় ২.৬ ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলার। আর গুগলের মালিক অ্যালফাবেটের বাজারমূল্য প্রায় দুই ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলার। এর পেছনে রয়েছে বৈশ্বিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা। এর মধ্যে বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের অ্যামাজন ও ১ নম্বর ধনী ইলন মাস্কের টেসলার বাজারমূল্য হচ্ছে যথাক্রমে ১.৭ ট্রিলিয়ন (এক লাখ ৭০ হাজার কোটি) ও এক ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলার। বিশ্বের সব থেকে জনিপ্রয় মোবাইল হ্যান্ডসেট আইফোন নির্মাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত অ্যাপল। ২০১৮ সালের আগস্টে অ্যাপলের বাজারমূল্য এক ট্রিলিয়ন লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ২০২০ সালের আগস্টে কম্পানিটির বাজারমূল্য দুই ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলার অতিক্রম করে। চলতি বছরে অ্যাপলের শেয়ারের দাম ৩৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কম্পানিটির নতুন আইফোন ১৩ এবং অন্যান্য পুরনো মডেলসহ অ্যাপল মিউজিক, অ্যাপল টিভি প্লাস, আইক্লাউড এসব অ্যাপ স্টোরভিত্তিক পরিষেবার চাহিদার ফলে শেয়ারের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গত তৃতীয় প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে অ্যাপলের পণ্য ও সেবা বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বা আট হাজার ৩০০ কোটি ডলার বেড়েছে। এই তিন মাসে মোট বিক্রি হয়েছে ১৯ হাজার ১০০ কোটি ডলার। সিএনএন বিজনেস।