দি ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ ছিলো একটি অনলাইন ‘সুইসাইড গেম’ যেখানে টিনএজার বা কিশোর কিশোরীদের সামনে পঞ্চাশ দিনের পঞ্চাশটি খেলা দেয়া হতো। আর এ চ্যালেঞ্জই বিশ্বজুড়ে অনেক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মোমো বা ব্লু হোয়েল গেম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক বিষাক্ত ম্যানিপুলেটিভ গেমে হারিয়ে গিয়েছিল অনেক অবুঝ মন। এবার সেরকমই আরও একটি ‘গেম’। আর তা ছড়িয়ে পড়ছে টিকটকের মাধ্যমে। নাম টিকটক ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ ।
সময়ের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মা-বাবারা। টিকটকের ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জের সর্বশেষ শিকার হয়েছে ১০ বছর বয়সী নাইলা অ্যান্ডারসন। গত ১২ ডিসেম্বর বেডরুমে মেলে নাইলার নিথর দেহ।
ইতালিতে টিকটক চ্যালেঞ্জের জন্য ভিডিও বানাতে গিয়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সিসিলির রাজধানী পালেরমোতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।জানা গেছে, ওই শিশু টিকটক চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে গলায় একটি বেল্ট বেঁধেছিল। পরে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে টিকটকের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করছে। এছাড়াও ইতালিতে বাচ্চাদের মধ্যে প্রচলিত সামাজিক চ্যালেঞ্জের জন্য আরও বহু কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালির গণমাধ্যম।
উল্লেখ্য, ভয়ংকর ব্লু হোয়েল গেম একটি অনলাইন ‘সুইসাইড গেম’ যেখানে টিনেজার বা কিশোর-কিশোরীদের সামনে ৫০ দিনের ৫০টি খেলা দেয়া হতো। আর এ চ্যালেঞ্জই বিশ্বজুড়ে অনেক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গত বছর ব্লু হোয়েল গেমের মতো ইতালিতে ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু গেম। ‘জনাথান গালিন্দ’ নামে এই খেলায় আসক্ত হয়ে গত বছর দেশটির নাপোলিতে ১০ বছরের শিশু আত্মহত্যা করে।