দেশীয় প্রযুক্তি পণ্যকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগকে গুরুত্ব দিয়ে উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস) এর ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর বুধবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের অ্যাবাকাস কনভেনশন সেন্টারে বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২১ সালের কার্যক্রম ও আর্থিক বিবরণী পেশ করার পাশাপাশি আগামী বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীরের সভাপতিত্বে সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহসভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, পরিচালক মোশারফ হোসেন সুমন এবং মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়াসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতেই বিসিএস সভাপতি করোনা কালীন সময়ে বিসিএস এর যেসকল সদস্য মৃত্যুবরণ করেন তাদের জন্য শোকপ্রস্তাব পেশ করেন। শোকপ্রস্তাব শেষে সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য দোয়া ও বিসিএস সদস্যদের সার্বিক উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচ্যসূচি অনুসারে ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সভায় উপস্থাপন করেন বিসিএস সভাপতি। কন্ঠভোটে কার্যবিবরণী অনুমোদন করেন উপস্থিত সদস্যরা। সভাপতির সম্মতিক্রমে মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ২০২১ সালের কর্মকান্ডের বিবরণী এবং কোষাধ্যক্ষের পক্ষে বিসিএস সহসভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন ২০২০-২১ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন। ২০২১ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেটের উপর সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাদের মতামত প্রদান করেন। সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও মতামতের আলোকে ২০২১ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং আগামী অর্থ বছরের জন্য সমিতির বাজেট অনুমোদিত হয়।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ আইটি সংগঠন বিসিএস ইতোমধ্যে ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে। করোনাকালীন সময়েও বিসিএস ডব্লিউসিআইটি ২০২১ এবং অ্যাসোসিও সামিট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। সারাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি কার্যক্রমকে বিস্তৃত করতে আমরা আরো নতুন নতুন শাখা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এছাড়াও উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে প্রযুক্তিখাতকে সমৃদ্ধ করতে যেসব উদ্যোগ নেয়া উচিৎ সেগুলো নিয়েও বিসিএস এর পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৫ জনে শুরু হওয়া আমাদের সমিতির সদস্য সংখ্যা দুই হাজার পাঁচশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেস, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইন, মডার্ন ওয়ার্ক প্লেসসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিসিএস সদস্যদের নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে ব্যবসায় নতুনত্ব নিয়ে আসতে বিসিএস এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সদস্যদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিতে কার্যকরী কমিটি বদ্ধ পরিকর।
ইংরেজী নববর্ষ ২০২২ সালের শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।