প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ গাড়ি ডেকে পাঠিয়েছে শীর্ষ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা টেসলা। এই গাড়িগুলোয় ক্যামেরা ও ট্রাঙ্কে ত্রুটি থাকার কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডেকে পাঠানো মডেল ৩ ও মডেল এস গাড়িগুলো গত সাত বছরে তৈরি। মার্কিন ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ)’ সূত্রে মিলেছে এসব তথ্য।
সরকারি এই সংস্থাটি টেসলা গাড়ির ‘ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম’ নিয়ে তদন্ত করছে। এ সময় গাড়িগুলোতে ব্যবহৃত ক্যামেরা ত্রুটি নিয়েও এনএইচটিএসএ নজর দেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
ডেকে পাঠানো গাড়িগুলোর মধ্যে মডেল ৩-এর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের বেশি আর প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মডেল এস।
২০২০ সালে টেসলা পাঁচ লাখ গাড়ি সরবরাহ করেছিল। সেই হিসাবে প্রায় এক বছরের উৎপাদন নিয়ে কাজ করতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
এনএইচটিএসএ বলছে, মডেল ৩ এর ক্যামেরা ত্রুটি আর মডেল এস-এর ট্রাঙ্ক বিভ্রাট সমাধানের জন্য গাড়িগুলো ফেরত নেবে টেসলা।
তবে এই প্রসঙ্গে টেসলার কোনো বক্তব্য জানতে পারেনি রয়টার্স।
এনএইচটিএসএ বলছে, মডেল ৩ সেডানের “বারবার ট্রাঙ্কের ঢাকনা খোলা ও বন্ধ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রিয়ারভিউ ক্যামেরার হারনেস; এতে ক্যামেরার ছবি ডিসপ্লেতে আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।”
ক্যামেরা ত্রুটির কারণে টেসলার কাছে ‘ওয়ারেন্টি ক্লেইম’ করেছেন দুই হাজার তিনশ’ মার্কিন ক্রেতা; আর মাঠ পর্যায় থেকে অভিযোগ এসেছে ছয়শ’র বেশি।
মডেল এস সম্পর্কে টেসলা জানিয়েছে, সামনের ট্রাঙ্কের ল্যাচ দুর্বল হওয়ায় “কোনো সংকেত না দিয়েই খুলে যেতে পারে এবং চালকের দেখার ক্ষমতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।”
তবে যে কারণে মডেল এস এবং মডেল ৩ ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার ফলে কোনো দুর্ঘটনা, কেউ আহত হওয়া বা কারো মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি– টেসলা এমন দাবি করছে বলে জানিয়েছে এনএইচটিএসএ।
টেসলার কিছু গাড়ির সাইডভিউ ক্যামেরা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আলাপ চলছে বলে ডিসেম্বরেই জানিয়েছে এনএইচটিএসএ। অন্যদিকে, টেসলার পাঁচ লাখ ৮০ হাজার গাড়িতে চলন্ত অবস্থায় গেইম খেলার ফিচার নিয়েও তদন্তে নেমেছিল সংস্থাটি।
পরবর্তীতে টেসলা চলমান গাড়িতে ওই ফিচারটির ব্যবহার বন্ধে রাজি হয় বলে জানিয়েছে এনএইচটিএসএ। সংস্থাটির চাপে ফেব্রুয়ারি মাসেই এক লাখ ৩৫ হাজার গাড়ি ফেরত নিতে রাজি হয়েছিল টেসলা। গাড়িগুলোর টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছিল।