বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগত ও সুরক্ষিত মেসেজিং এবং ভয়েসভিত্তিক যোগাযোগ অ্যাপ রাকুতেন ভাইবার তাদের ‘ভাইবার লেন্স’ ফিচারটি ব্যবহারের বিশ্লেষণের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
এ ফিচারটি চলতি মাসের জুন মাসে স্ন্যাপ’র সাথে অংশীদারিত্বে চালু করা হয়েছে। এ ফিচারটি প্রথমবারের মতো চালু হওয়ার পর, ৭.৩ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী ছবি, ভিডিও কিংবা জিআইএফ এর মতো মিডিয়াগুলোর জন্য লেন্সগুলো ব্যবহার করে। এ অ্যাপটিতে ৫.৬ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী ৫১.৮ মিলিয়ন ক্যাপচার তৈরি করেছে।
ডাটা অনুযায়ী, নারীরা এআর লেন্স ব্যবহার করে তাদের অভিজ্ঞতাকে আরও বাস্তবিকভাবে তুলে ধরতে পারে, যেখানে নারীরা ভাইবারের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীদের (এমএইউএস) ৪৬ শতাংশ ও লেন্স ব্যবহারকারীদের ৫৬ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
নারীদের পুরুষদের তুলনায় মিডিয়া ক্যাপচার ও পাঠানোর সম্ভাবনা বেশি; কারণ, লেন্স ব্যবহার করে এমন ৫৯ শতাংশ নারী মিডিয়া ক্যাপচার করবে এবং তাদের ৩০ শতাংশ এটি পাঠাবে। অন্যদিকে, লেন্স ব্যবহারকারী ৫৫ শতাংশ পুরুষ মিডিয়া ক্যাপচার করবে এবং তাদের ২৭ শতাংশ এটি পাঠাবে।
বড়, চোখের মণি ওপরে ওঠা এমন চোখের আকৃতি (গুগল আই) এবং একটি লম্বা জিহ্বা এর সমন্বয়ে বানানো ‘কার্টুন ফেস’ ছিলো সবচেয়ে জনপ্রিয় লেন্স৷ ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলো লাল চুলকে ২০২১ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় রঙের ট্রেন্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে, এবং এটি এআর ফিল্টারগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘রেড হেড’ – একটি লেন্স যা ব্যবহারকারীদের লম্বা ও লাল চুলের আকৃতি দেয়। এটি ভাইবারের দ্বিতীয় জনপ্রিয় লেন্স ছিলো৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘হ্যালোইন এলিমেন্টস’ লেন্স, যা ব্যবহারকারীর মুখের উপর একটি ভুতুড়ে মুখোশের আকৃতি দেয়।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) এর সাথে একটি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তৈরি করা টাইগার লেন্সও অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলো এবং কিছু অঞ্চলে বিপন্ন প্রাণীর লেন্সগুলো ডব্লিউডব্লিউএফ এর জন্য অর্থসাহায্য পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে আরো দেখা যায় যে, এআর ফিল্টারগুলো শুধু মাত্র কম বয়সীরাই ব্যবহার করে না। লেন্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ ছিল ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা (২৩ শতাংশ), এরপর রয়েছে ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের ব্যবহারকারীরা (১৮ শতাংশ)। ১৭ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ শতাংশ।
রাকুতেন ভাইবারের চিফ গ্রোথ অফিসার আনা জ্যামেনস্কায়া বলেন, ‘চলতি বছরটি সবার জন্য অনেক প্রতিকূল ছিলো; মহামারিজনিত কারণে অনেক লোক মেসেজিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে, তাই ভাইবার তাদের ডিজিটাল যোগাযোগকে আরও প্রাণবন্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়৷’