প্রযুক্তিতে বিশ্বের বাংলাদেশকে আগামী ৫ বছরে এগিয়ে থাকার শীর্ষে প্রতিষ্ঠিত করবই। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিস্কার ৫জি যুগে প্রবেশের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই আমরা শুরু করেছি। বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী রাজধানীর বসুন্ধরায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের প্রদর্শনী বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ এর সমাপনী উপলক্ষে গতরাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
প্রযুক্তির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি সফটওয়্যার ও ডিজিটাল ডিভাইস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন বেসিসসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও উদ্ভাবকদের ৫জির সাথে সম্পৃক্ত প্রযুক্তি বিশেষ করে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা, রোবটিক, বিগডাটা, আইওটি ও ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর নিজেদের আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
গত ১৯ মার্চ টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি শ্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া তিন দিন ব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তর এ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এবং সহ-সভাপতি ও সফটএক্সপো ২০১৯ এর আহবায়ক ফারহানা এ রহমান বক্তৃতা করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশকে নিয়ে হাস্য তামাসা করা হতো। আজ তা পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে!
তিনি বলেন, আমরা আজকের যে অবস্থায় আছি পরবর্তী ৫ বছরের জন্য আরো বেশী ভাবতে হবে।
জনাব মোস্তাফা জব্বার গত দশ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সফলতাকে অভাবনীয় উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। ৫৬৫ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশ গত দশ বছরে ১৯০৯ ডলারের মাথা পিছু আয়ের বাংলাদেশে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৮ দশমিক ১৩ ভাগ জিডিপি অর্জনের মধ্য দিয়ে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি শেখ হাসিনা পারে, বাংলাদেশ পারবে।
সাবেক বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বেসিস প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন প্রতিকুলতাসহ প্রতিষ্ঠাকালীন অভিজ্ঞতার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, আজকের প্রযুক্তির উৎকর্ষের দিনে এটা প্রমানিত হয়েছে, বেসিস প্রতিষ্ঠার স্বপ্নটা সঠিক স্বপ্ন ছিলো। ‘ আমরা এমন একটা সময়ে এখন উপনীত হয়েছি যখন ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনের বিষয়টি অনেক সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এখন ১৮০টি দেশে সফট ওয়্যার রপ্তানি করছে। আইওটি পণ্য আমরা সৌদি আরবে রপ্তানি করছি’। তিন দিনের বেসিস মেলায় মানুষ দেখতে পেয়েছে আমরা কোথায় পৌছেছি, কী করছি, কোথায় আছি উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে দেশের প্রথম কম্পিউটার ব্যবহারকারী মোহাম্মদ মুসাকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরিবারের পক্ষে তার মেয়ে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।