খতিয়ান কিংবা ম্যাপ পেতে মোবাইল অ্যাপ কিংবা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ঢুকে আর আবেদন করতে হবে না; এমনকি ডিজিটাল সার্ভিস নেওয়ার জন্য স্মার্টফোনও থাকার বাধ্যবাধকতাও আর থাকছে না সে জন্য। যেকোনো ফোন থেকে শুধু ১৬১২২ নম্বরে ফোন করলেই হবে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে ভূমিসেবা হটলাইন অপারেটরই গ্রাহকের হয়ে বাকি কাজ করে দেবেন। ১৬১২২-এ ফোন করে চার মিনিটেই খতিয়ান কিংবা মৌজা ম্যাপের আবেদন করা যাবে, দেওয়া যাবে এসবের ফিও। একইভাবে ভূমি উন্নয়ন করও পরিশোধ করা যাবে।
জমির খতিয়ান কিংবা জমির ম্যাপের জন্য
ঘরে বসেই ফোন করে জমির খতিয়ান কিংবা জমির ম্যাপ পাওয়ার জন্য আবেদনকারী ১৬১২২ ফোন করে এনআইডিসহ জমির তথ্য প্রদান করার পর কল সেন্টার আবেদনকারীর পক্ষে খতিয়ান কিংবা জমির ম্যাপের আবেদন দাখিল করবে। এরপর আবেদনকারী তাঁর মোবাইলে একটি টোকেন পাবেন। আবেদনকারী টোকেন নম্বরটি দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ফি প্রদান করলে তিনি মোবাইলে আবেদনের আইডি ও ডেলিভারির তারিখ পাবেন। নির্দিষ্ট তারিখে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রতিনিধি আবেদনকারীর ঠিকানায় খতিয়ান তথা পরচা কিংবা জমির ম্যাপ পৌঁছে দেবেন।
নাগরিক খতিয়ান (পরচা) দেখতে চাইলে
ভার্চুয়াল রেকর্ডরুম থেকে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো নাগরিক খতিয়ান (পরচা) দেখতে পারবেন। সার্টিফাইড কপি কাউন্টার থেকে ডেলিভারির জন্য কোর্ট ফি ৫০ টাকা। ডাকযোগে নিজ ঠিকানায় খতিয়ান ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত ৪০ টাকা দিতে হবে।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ
ঘরে বসেই ফোন করে যেভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করবেন : ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার জন্য ১৬১২২ নম্বরে কল করে (কিংবা land.gov.bd থেকে) এনআইডিসহ জমির তথ্য প্রদান করে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের তথ্য পাওয়ার পর ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনুমোদন দিলে হোল্ডিং এন্ট্রি শেষ হবে। হোল্ডিং নাম্বারের তথ্য আবেদনকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। অতঃপর নাগরিককে আবার ১৬১২২ নম্বরে কল করে হোল্ডিংয়ের তথ্য প্রদান করতে হবে।
এরপর কল সেন্টার থেকে নাগরিকের মোবাইলে টোকেন নাম্বারের এসএমএস আসবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পে-বিলের মাধ্যমে টোকেন নাম্বার দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভূমি মালিক তাঁর জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল দাখিলা নাগরিকের অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত হবে।
ডিজিটাল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস যেমন—নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায় এবং যেকোনো ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে।