একাদশ প্রজন্মের প্রসেসরযুক্ত তিন মডেলের নতুন ল্যাপটপ বাজারে ছাড়লো দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি- টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ‘ট্যামারিন্ড এমএক্স১১’ (ঞঅগঅজওঘউ গঢ১১) সিরিজের ওই ল্যাপটপগুলো যেমন দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে সমৃদ্ধ, তেমনই অত্যাধুনিক সব ফিচারে ভরপুর। মডেলভেদে ল্যাপটপগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে ইন্টেলের একাদশ প্রজন্মের কোরআই থ্রি থেকে কোরআই সেভেন প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম, দ্রুতগতির এসএসডিসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার। সঙ্গে গ্রাহক পাচ্ছেন জেনুইন উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, নতুন আসা কোর আই থ্রি প্রসেসরযুক্ত ট্যামারিন্ড এমএক্স১১ মডেলের ল্যাপটপটির দাম মাত্র ৫৭,৫০০ টাকা। আর কোর আই ফাইভ প্রসেসরযুক্ত মডেলের ল্যাপটপটির মূল্য ৭১,৫০০ টাকা। অন্যদিকে, কোর আই সেভেন প্রসেসরযুক্ত ট্যামারিন্ড এমএক্স১১ মডেলের ল্যাপটপটির দাম পড়ছে ৮৪,৫০০ টাকা। দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম, আইটি ডিলার এবং মোবাইল ডিলার শোরুমে নগদ মূল্যের পাশাপাশি এই ল্যাপটপগুলো কিস্তিতে কেনা যাবে। তাছাড়া ক্রেডিট কার্ডে বিনা ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ালটন ল্যাপটপ কেনায় রয়েছে বিশেষ সুবিধা।
নতুন এই সিরিজের সব মডেলের ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪ ইি র ফুল এইচডি ম্যাট আইপিএস এলইডি ব্যাকলিট ডিসপ্লে। যার কালার গ্যামুট ১০০% এসআরজিবি (ংজএই)। ফলে এতে স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি দেখার অভিজ্ঞতা মিলবে। গেম খেলা, কাজ করা বা মুভি দেখায় পাওয়া যাবে অসাধারণ অনুভূতি। এর ম্যাট ডিসপ্লে প্যানেল আলোর প্রতিফলন রোধ করবে। দীর্ঘক্ষণ গেম খেলা বা কাজ করায় চোখের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. লিয়াকত আলী বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আমরা প্রতিনিয়ত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উন্নতমানের ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারজাত করছি। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্টেলের একাদশ প্রজন্মের প্রসেসরযুক্ত ‘ট্যামারিন্ড এমএক্স১১’ সিরিজের ওই তিন মডেলের ল্যাপটপ বাজারে ছাড়া হয়েছে। মাল্টিটাক্সিং সুবিধা ও উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ উচ্চমানের এই ল্যাপটপ প্রয়োজনীয় কাজ, গেম খেলা কিংবা বিনোদনে ব্যবহারকারীদের দেবে আরো বেশি গতিময় অভিজ্ঞতা। মূলত প্রযুক্তিপ্রেমীদের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদার কথা বিবেচনা করেই নতুন এই ল্যাপটপগুলো বাজারে ছাড়া হয়েছে।
ল্যাপটপগুলোর উচ্চগতি নিশ্চিতে সব মডেলেই ব্যবহার করা হয়েছে ৮ গিগাবাইট ৩২০০ হার্জ ডিডিআরফোর র্যাম। দুটি স্লট থাকায় প্রয়োজনে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত র্যাম বাড়ানো যাবে। স্টোরেজ হিসেবে ল্যাপটপগুলোতে ৫১২ জিবির এনভিএমই এসএসডি রয়েছে, যা ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। কোর আই সেভেন এবং ফাইভ ল্যাপটপের গ্রাফিক্স হিসেবে আছে ইন্টেলের এক্সই আইরিস। আর কোর আই থ্রি মডেলে রয়েছে ইন্টেলের আল্ট্রা এইচডি গ্রাফ্রিক্স। ল্যাপটপগুলোতে রয়েছে এলইডি ইলুমিনেটেড কিবোর্ড, যা অল্প আলোতেও টাইপিং-এ সহায়ক হবে। স্পষ্ট ভিডিও কলের জন্য রয়েছে ১ মেগা পিক্সেলের এইচডি ক্যামেরা।
দীর্ঘক্ষণ পাওয়ার ব্যাকআপের নিশ্চয়তায় সব ল্যাপটপে ব্যবহৃত হয়েছে শক্তিশালী ৪ সেলের স্মার্ট লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি প্যাক। যা প্রায় ৮ ঘন্টা পাওয়ার ব্যাক-আপ দিতে সমর্থ। চার্জিংয়ের জন্য রয়েছে ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং এডাপ্টার, যা দ্রুত ব্যাটারি রিচার্জ করতে পারবে।
ল্যাপটপগুলোর অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে হাই ডেফিনেশন অডিও, বিল্ট ইন অ্যারে মাইক্রোফোন, দুইটি ১.৫ ওয়াটের স্পিকার, ডুয়াল ফ্যান ইত্যাদি। কানেকটিভিটি ফিচারের মধ্যে আছে ১টি করে থান্ডারবোল্ট ৪ কম্বো পোর্ট, ইউএসবি ৩.২ টাইপ সি পোর্ট, ২টি ইউএসবি ৩.২ টাইপ এ পোর্ট, সিক্স-ইন ওয়ান মাইক্রো এসডি কার্ড রিডার, ওয়াইফাই ৬.০, ব্লুটুথ ৫.২, ২টি এমটু কার্ড স্লট, এইচডিএমআই, অডিও জ্যাক, ল্যান পোর্ট ইত্যাদি। ব্যাটারিসহ ওজন মাত্র ১.৪ কেজি। ফলে যে কোনো স্থানে সহজেই বহন করা যাবে। এর দৈর্ঘ্য ৩২৪.৯ মিমি, ২২৫ মিমি চওড়া এবং পুরুত্ব ১৭.৬ মিমি।
‘ট্যামারিন্ড এমএক্স১১’ সিরিজের এই ল্যাপটপগুলোতে গ্রাহকরা ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে ২ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।