গত বছর বিভিন্ন সোস্যাল প্লাটফর্মে প্রতারণার মাধ্যমে ৭৭ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর এনগ্যাজেট।
গত বছর কেন এ ধরনের প্রতারণা হয়েছে, এ বিষয়ে এফটিসির প্রতিবেদনে বিশদ জানানো না হলেও পাঁচ বছর ধরেই যে এ ধারা অব্যাহত রয়েছে তা উঠে এসেছে। ২০২১ সালে সামাজিক মাধ্যমে প্রতারণায় ৭৭ কোটি ডলার খুইয়েছে ব্যবহারকারীরা, ২০২০ সালের ২৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের চেয়ে যা দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছরে প্রতারণার বড় অংশ গিয়েছে ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা মোট ৭৭ কোটি ডলারের এক-তৃতীয়াংশের বেশি।
এফটিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কোনো আগন্তুকের কাছ থেকে আসা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণের মাধ্যমে অনেক প্রতারণার জন্ম হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মধুর আলাপচারিতার এক পর্যায়ে অর্থ ধার চাওয়া হয়। প্রতারণার শিকার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ প্রেমে জড়িয়ে অর্থ হারানোর অভিযোগ করেছে, যার শুরুটা হয়েছিল ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে।
মেটার এক মুখপাত্র বলেন, প্রতারণা ঠেকাতে আমরা নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এজন্য আমরা অভিযুক্ত অ্যাকাউন্ট, পেজ ও বিজ্ঞাপনগুলোকে মুছে দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে। সেই সঙ্গে আমরা সবসময় ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করি কোথাও কোনো অসামঞ্জস্য দেখলেই যেন তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।