ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-সহ একাধিক সংস্থার সার্ভারে হানা দিয়ে সাংবাদিকদের প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আশঙ্কা, এই হানার নেপথ্যে রয়েছে চীন।
মিডিয়া ব্যারন রুপার্ট মারডকের প্রকাশক সংস্থা ‘নিউজ কর্প’ জানিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউ ইয়র্ক পোস্ট ও ডাও জনস-এর সিস্টেমে হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এর ফলে সাংবাদিকদের প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হয়েছে।
প্রকাশক সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রথম হ্যাকাররা আক্রমণ করে। এই আক্রমণে তাদের সংস্থার বহু সাংবাদিকের সিস্টেম থেকে ফাঁস হয়েছে নানা ধরনের তথ্য। হ্যাকাররা সাংবাদিকদের ই-মেইল, এবং গুগল ডক্স থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছে। এমনকি, ইমেলের ড্রাফটস থেকেও তথ্য হাতানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ‘নিউজ কর্প’ জানিয়েছে, ‘সংস্থার প্রাথমিক অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণে মনে করা হচ্ছে এই হ্যাকার হানার নেপথ্যে কোনও বিদেশী সরকারের হাত রয়েছে।’
২০১৩ সালেও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর সিস্টেমে হানা দিয়েছিল হ্যাকাররা।
ওইবার অভিযোগের আঙুল ওঠে চীনের বিরুদ্ধে। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হ্যাকার হানার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে চীন জড়িত নয়। এই ঘটনার নেপথ্যে চীনের হাত থাকার ধারণা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। বরং চীন বরাবরই এই সমস্ত সাইবার অপরাধের বিরোধিতা করে এসেছে।
প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। হ্যাকারদের হানা নিয়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে গিয়েছে আমেরিকা।
২০২০ সালে ম্যাসাচুসেটস বায়োটেক নামে একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে হানা দেয় চীনা হ্যাকাররা। তার কয়েক সপ্তাহ পরে এমনই হামলা হয় আরও একটি মার্কিন সংস্থার তথ্যভাণ্ডারে। দু’টি সংস্থাই করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা চালাচ্ছিল।
মার্কিন প্রশাসন দাবি করেছিল, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাংশের সাহায্যে দুই হ্যাকার তথ্য চুরি করতে হানা দিয়েছিল। ওই হ্যাকারদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। আমেরিকা দাবি জানিয়েছিল যে, লি জিয়াউ এবং ডং জিয়াঝি নামে দুই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চীন থেকেই সাইবার হানা চালিয়েছিল।