মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম, উইন্ডোজ ৭। বিশ্বের কয়েক মিলিয়ন মানুষ তাদের কম্পিউটারে এই অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করছে।
তবে বিশ্বব্যাপী উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীদের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ হচ্ছে, এই অপারেটিং সিস্টেমটি এ বছরই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে। ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে উইন্ডোজ ৭ এর নিরাপত্তা আপডেট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। ওই সময়ের পরে উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার অব্যাহত রাখলে তার দায়দায়িত্ব মাইক্রোসফট নেবে না বলে জানিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সময়সীমা বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।
আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করাটা খুব ঝুকিঁপূর্ণ বিষয় হবে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ নিরাপত্তা আপডেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কম্পিউটার সহজেই ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবে।
মাইক্রোসফট ইতিমধ্যে উইন্ডোজ ৭ বিক্রয় এবং নতুন ফিচার আপডেট বন্ধ করে দিয়েছে। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর এই অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে নিয়ে আসে মাইক্রোসফট। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর আরো উন্নত অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ ৮ নিয়ে আসে। কিন্তু স্টার্ট মেন্যু না থাকাসহ আরো কিছু কারণে উইন্ডোজ ৮ এবং ৮.১ ব্যবহারে অনেকেই আগ্রহী হয়নি। এমনকি পরবর্তী ভার্সন উইন্ডোজ ভিস্তাতেও আগ্রহ দেখায়নি। বরং পুরোনো ভার্সন উইন্ডোজ ৭-এই আগ্রহ দেখিয়েছে।
কিন্তু এখন মাইক্রোসফট চাচ্ছে, সকল ব্যবহারকারীরা যেন উইন্ডোজের সর্বশেষ ভার্সন উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করে। সেজন্যই উইন্ডোজ ৭ বন্ধের সিদ্ধান্ত। বর্তমানে বিশ্বের ৪২.২ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করছেন। আর উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করছেন ৪৫.৫ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী।
উইন্ডোজ ৭ এর নিরাপত্তা সেবা বন্ধের ঘোষণা আসায় বেশ বিপাকেই পড়তে হবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহারকারীদের। নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পুরোপুরি অরক্ষিত হয়ে পড়বে কম্পিউটারগুলো। ঝুঁকি এড়ানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট হওয়া।
তথ্যসূত্র : মিরর