গুদামে পড়ে থাকা ও বাজার থেকে ফেরত আসা নষ্ট মোবাইল হ্যান্ডসেট মেরামত করে পুনরায় বাজারজাত করার অনুমতি দিলে গ্রাহকরা অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসি ইতিমধ্যে একটি বিদেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কে তাদের গুদামে পড়ে থাকা বিপুল পরিমাণ নষ্ট হ্যান্ডসেট পুনরায় মেরামত করে বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছেন বলে সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দাবী করছে যে গ্রাহকরা অল্প কয়েকদিন ব্যবহার করে যে সেট জাকেরা গ্যারান্টি থাকার কারণে তাদের ফেরত নিতে হয়েছে। এবং সামান্য ত্রুটি থাকার কারণে বাজারজাত করতে না পারা বিপুল পরিমাণ হ্যান্ডসেট যাকিনা ই-বর্জ্য পরিণত হয়েছে।
তাই প্রতিষ্ঠানটি এইসকল নষ্ট হ্যান্ডসেট মেরামত করে কম দামের বাজারজাত করার অনুমতি প্রদান প্রার্থনা করলে বিটিআরসি তা অনুমোদন দেয়। তবে এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হল যে, প্রথমত, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ যে দাবি করেছিলাম যে দেশে উৎপাদনকারী হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন হ্যান্ডসেট দেশের অভ্যন্তরে বাজারজাত করছে না, তা আজ সত্যি প্রমাণিত হলো। তারা কেবল বিদেশে রপ্তানির সময় কিউসি লেভেলে বাতিল হয় তা বাজারজাত করে।
দ্বিতীয়তঃ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় ২০২২ সালে মোবাইল কীবোর্ড দাঁড়াবে ১হাজার২০০ মেট্রিক টন।বাজারে বৈধ এবং অবৈধ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা চোরাইপথে মানহীন এবং গ্রাহকদের ফেলে দেয়া হ্যান্ডসেটের পরিমাণ এর মজুদ বিপুল পরিমাণ রয়েছে। তাছাড়া দেশে ইতিমধ্যে ই-বর্জ্য রিসাইকেলিং প্রতিষ্ঠান হয়েছে প্রায় ছয় থেকে সাত। আগামীতে ই-বর্জ্য বিদেশ থেকে রপ্তানি করার যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানে এসকল হ্যান্ডসেট ই-বর্জ্য হিসেবে রিসাইক্লিং করাই উত্তম।
তৃতীয়তঃ পূন: প্রক্রিয়া করার ফলে এসকল হ্যান্ডসেটের রেডিয়েশনের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পাবে যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। বিটিআরসির নিজস্ব হ্যান্ডসেটের মান নিয়ন্ত্রণের না থাকা ও বাজার মনিটরিং এর জন্য পর্যাপ্ত জনবল না থাকার ফলে একদিকে গ্রাহকরা নষ্ট হ্যান্ডসেট অতিরিক্ত মূল্য যেমন কিনবে ঠিক তেমনি ভাবে তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।
আমরা বলতে চাই এবং পূর্বেও কমিশনকে বলেছি হ্যান্ডসেট এর মান নিয়ন্ত্রণ করেন এবং মূল্য নির্ধারণ করে দেন। আর যদি তা না করা হয় তাহলে ভালো-মন্দ মিশ্রণে গ্রাহক অর্থনৈতিক ও শারীরিক উভয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।