সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিতে বর্ষপণ্য হিসেবে যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটি এই খাত থেকে ২০২৫ সাল নাগাদ পাঁচ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা ত্বরান্বিত করবে। এই লক্ষে সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি’র সাথে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর নেতৃত্বে বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত দেশের উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একইসাথে সরকার ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। এই ঘোষণা ও রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকারের সাথে যৌথভাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বেসিস।
আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন ও বাজার সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করছি। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বের মতোই প্রয়োজনীয় পলিসি সহায়তা এবং বিনিয়োগ ও ব্যবসাবন্ধব পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগেই দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে এবং বাস্তবায়িত হবে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলো।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বেসিস নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি মনোযোগসহকারে শোনেন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে যৌক্তিক দাবি এবং সুপারিশ বাস্তবায়নে সম্ভব সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বর্ষপণ্যের ঘোষণাকে শুধু ঘোষণা হিসেবে না নিয়ে সেটি বাস্তবায়নে বেসিস যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তাতে আমরা খুবই আশাবাদী।
শিগগিরই সকল অংশীদারদের নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান ও সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ।