স্কুলে পড়ুয়া সহজ-সরল, লাজুক নুসরাত রহমানের জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে বইয়ের পাতার আড়ালে। কিন্তু, স্কুলের ব্যাচ পার্টির দিন ঘনিয়ে আসায় নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে নিত্যনতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডের সাথে নুসরাতকে তার স্টাইলে আনতে হবে পরিবর্তন। নুসরাত বেশ ভালো করেই জানেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে দ্রুত ও স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করে। তাই, তিনি সিদ্ধান্ত নেন একজন ইনফ্লুয়েন্সারের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার। বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে তার চোখে পড়ে @ফাতেমাসআইডিয়াস এর একটি ভিডিও। এই ইনফ্লুয়েন্সার স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে সাম্প্রতিক ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঠিক কৌশল ও পরামর্শ প্রদান করেন। এসব ভিডিও থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে আনন্দ আর আত্মবিশ্বাসের সাথে নুসরাত হাজির হন তার প্রথম ব্যাচ পার্টিতে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ভাইরাল করার সুবিধার কারণে আজকাল বেশিরভাগ মানুষ, বিশেষ করে কমবয়সী তরুণরা বিভিন্ন ট্রেন্ড অনুসরণ করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পছন্দ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন ব্যতিক্রমী অ্যাপের আবির্ভাব নিঃসন্দেহেই ফ্যাশন জগতে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এখন আর ব্র্যান্ড নয়, গ্রাহকরাই ঠিক করেন ট্রেন্ড কী হবে। ফ্যাশন ও বিনোদনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এসব প্ল্যাটফর্ম অর্থপূর্ণ কার্যকলাপেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়। উদাহরণস্বরূপ, চলমান বৈশ্বিক মহামারির কঠিন পরিস্থিতিতে, অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য মানুষ স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিওর মাধ্যমে সহায়তা সংগ্রহের এক ইভেন্ট পরিচালনা করে।
বস্তুত, মানুষ ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। সংক্ষিপ্ত, তথ্যবহুল এবং মূল্যবান হওয়ার পাশাপাশি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও ভিন্নধর্মী ও বিনোদনমুলক হওয়ায় এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইতোমধ্যেই এটি প্রমাণিত যে, ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহারকারীর মনোযোগ ধরে রাখতে পারে এবং এগুলো সহজে বোঝা ও উপভোগ করা যায়। ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, যেমন- স্বল্প দৈর্ঘ্যের শিক্ষণীয় ও অর্থপূর্ণ ভিডিও গল্প বলার জন্য অত্যন্ত চমৎকার, কারণ এগুলো মানুষকে ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ও সহজে অন্যদের সাথে যুক্ত হতে সাহায্য করে।
দৈর্ঘ্য ছাড়াও, যে বিষয়টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিওকে অন্যসব কনটেন্ট থেকে আলাদা করে তা হচ্ছে ট্রেন্ড সংস্কৃতি। বিশ্বের বিভিন্ন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এমন নানান ট্রেন্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়, যা কিনা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও বিনোদন উপভোগ করতে চায় এমন মানুষদের একত্রিত করে। দর্শকদের আনন্দের পাশাপাশি অনুপ্রাণিত করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলো আরও সৃজনশীল উপায়ে যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়। এগুলো বিভিন্ন দক্ষতা ও শিল্পকর্ম শেয়ারের সাথে সাথে নতুন কিছু জানা ও জ্ঞান অর্জনের ট্রেন্ডিং ফর্ম হয়ে উঠেছে।
স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ারের জনপ্রিয় অ্যাপ লাইকি, দেশে নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে বৈচিত্র্যময় করে তোলার মাধ্যমে সর্বস্তরের ব্যবহারকারীদের শিক্ষা, কমেডি, খেলাধুলা, ফ্যাশন, সঙ্গীত ও আরও অনেক রকম কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ করে দিয়েছে। মানুষ কনটেন্ট শেয়ারিং সুবিধা উপভোগের পাশাপাশি চলতি বিভিন্ন ট্রেন্ডের সাথে আপ-টু-ডেট থাকতে পারবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েক বছর ধরেই অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে, স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের পাশাপাশি একে অপরের সাথে সৌহার্দ্য বজায় রেখে থাকার সুযোগ করে দেয়। ব্যতিক্রমী ও অত্যন্ত ইন্ট্যার্যাক্টিভ বলে পরিচিত এই অ্যাপ প্ল্যাটফর্মটি কনটেন্ট শেয়ার করতে পছন্দ করেন এমন ব্যবহারকারীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে একসাথে কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং ইন্টারনেট কমিউনিটির মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আদান-প্রদানের সুবিধা নিতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে তথ্য শেয়ার, লাইক-ডিজলাইক বিনিময় ও অন্যদের সাথে প্রায় যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এভাবে, লাইকি’র মতো অ্যাপগুলো ব্যবহার করে মানুষ একসাথে শেখা ও সমৃদ্ধির সাথে বিভিন্ন উপায়ে যুক্ত হওয়ার ও সম্পর্ক দৃঢ় করার সুযোগ পান।