ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ১৯০টি ইউনিয়ন ছাড়া দেশের প্রতিটি ইউনিয়নসহ দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপ, চর ও হাওর উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার আম্বার আইটির উদ্যোগে মধুপুরের গারো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে এই সংযোগ প্রদান করে। প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় গ্রামবাসীর আকুতি বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংবাদিক মুনীর হাসান, প্রতিবেদক রাহিতুল ইসলাম এবং গ্রামবাসীর পক্ষে সুবীর নাগরিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সবাই এই অসাধারণ উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলসহ সব দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি বলেন, মধুপরের বনের মতো সারা দেশে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। তাদের ডিজিটাল সংযোগ দিতে পারলে নতুন নতুন অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে শত শত বছর পিছিয়ে থাকা এই জাতি আগামী ১০ বছরে পৃথিবীর কোনো দেশ থেকে একচুলও পিছিয়ে থাকবে না। আমরা ইতোমধ্যে ফাইভজি উদ্বোধন করেছি। কৃষি, মৎস্য চাষ ও শিল্প বাণিজ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ফাইভজি হবে এগিয়ে যাওয়ার বড় হাতিয়ার বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিভাকে বিকশিত করতে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ সংযোগসহ তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি প্রথম আলো এবং আম্বার আইটিকে তাদের ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেন।
উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আদিবাসী তরুণ সুবীর নাগরিক বলেন, পাহাড়ে আমরা উচ্চগতির ইন্টারনেট পাচ্ছি এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।