দেশে ৫০টি স্টার্টআপে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, এক দশকে স্টার্টআপ খাতে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ স্টার্টআপ রয়েছে। এ উদ্যোগ দেশে একটি জাতীয় উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে এবং নতুন উদ্ভাবনে গতি সঞ্চার করবে।
বুধবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে ‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইনের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে স্টার্টআপদের বিনিয়োগ সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন সেন্টার, ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার, ৩০০ স্কুল অব ফিউচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হবে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তারাই জ্ঞানভিত্তিক, অর্থনৈতিক ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে আইসিটি বিভাগ ‘শতবর্ষের শত আশা’ শীর্ষক উদ্যোগের অংশ হিসেবে বুধবার দ্বিতীয় ধাপে ৮টি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা মূলধন সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে বিনিয়োগ চুক্তি সম্পন্ন করে।
বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিইওরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- হ্যালো টাস্ক, ১০ মিনিটস স্কুল, আই ফারমার, ফ্রন্টিয়ার নিউট্রেশন, লুপ, যান্ত্রিক, সাটেল এবং ট্রাক লাগবে। প্রথম ধাপে ৭টি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ প্রমুখ।