বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত সাইবার হামলাগুলোর ৭৫ শতাংশ সাধারণ একটি ই-মেইল পাঠানোর মাধ্যমে শুরু করা হয়। সম্প্রতি ট্রেন্ড মাইক্রো প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ও সতর্কবার্তা দেয়া হয়। খবর টেকরাডার।
সাইবার হামলাসংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের কর্মীদের ফিশিংসহ ই-মেইলকেন্দ্রিক অন্যান্য আক্রমণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি নিজেদের এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দুর্ভাগ্যবশত বিভিন্ন অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহারের সময় ঝুঁকি নিতে পিছপা হন না। বিশেষ করে যারা কভিড-১৯ মহামারীর আগে ও পরে বাসা থেকে কাজ করেছেন, তারা এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়েন।
সাইবার হামলাকারীরাও এ বিষয়ে সচেতন। ফলে তারা সহজেই ই-মেইল পাঠানোর মাধ্যমে হামলা করতে পারছে। ২০২১ সালে ট্রেন্ড মাইক্রো ২ কোটি ৫৭ লাখের বেশি ই-মেইল হামলা শনাক্ত ও প্রতিরোধ করেছে। এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে ফিশিং হামলা পরিচালনার যে প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে তা দ্বিগুণেরও বেশি। একই সময়ে বিজনেস ই-মেইল ব্যবহারের মাধ্যমে হামলা চালানোর হার ১১ শতাংশ কমেছে। তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির ই-মেইল নিরাপত্তা সলিউশন বড় ধরনের হামলার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে বিজনেস ই-মেইল ব্যবহারের মাধ্যমে মোট হামলার ৪৭ শতাংশ পরিচালিত হয়। ২০২০ সালে যার হার ছিল ২৩ শতাংশ।
ট্রেন্ড মাইক্রোর থ্রেট ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ক্লে বলেন, হামলাকারীরা তাদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সেটি হামলার পরিমাণ বা দক্ষতা যার মাধ্যমেই হোক না কেন। বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা শনাক্তে আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করি, তার মাধ্যমে সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হামলাকারীরা কী পদ্ধতি অবলম্বন করছে সে বিষয়ে জানতে পারি।
সাইবার হামলাকারীরা ই-মেইল ব্যবহারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সিস্টেমে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে র্যানসমওয়্যার ছড়িয়ে দেয়। বর্তমানে তারা অধিক অর্থ আদায়ের জন্য ব্যবসায়ী ও শিল্প-কারখানায় আক্রমণ চালাচ্ছে।