বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হলো ‘ওয়ালটন ডে’। দিনটি উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশে ওয়ালটনের অফিস, সেলস আউটলেট ও সার্ভিস পয়েন্টগুলোতে ছিলো বর্ণাঢ্য আয়োজন। এদিন কর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ প্রফিট-শেয়ার ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। যা ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের আনন্দময় মুহূর্ত আরো রাঙিয়ে তোলে। ‘ওয়ালটন ডে’ উৎসবে যোগ করে নতুন মাত্রা।
রোববার (২০ মার্চ) সকালে রাজধানীর করপোরেট অফিসে জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী। সে সময় তিনি কর্মীদের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের লভ্যাংশ (প্রফিট শেয়ারিং) ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম এবং পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
একই সঙ্গে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে জাতীয় পতাকা এবং ওয়ালটন পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপনের সূচনা করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও গোলাম মুর্শেদ।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ওয়ার্কারস প্রফিট পার্টিশিপেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অর্থ কর্মীদের মাঝে সমভাবে বন্টন করে ওয়ালটন। পাশাপাশি সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে লাভের অংশ জমা দেয়া হয়। চলতি বছর ওয়ালটন পরিবারের প্রত্যেক সদস্য প্রফিট শেয়ারিং ফান্ড থেকে ৩৯ হাজার ১৯৮ টাকা করে পেয়েছেন। যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ২৬,১৩২ টাকা তাৎক্ষণিক প্রদান করা হয়। আর সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা হচ্ছে ৯ কোটি ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ৩১৪ টাকা। সব মিলিয়ে ওয়ার্কারস প্রফিট পার্টিশিপেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডে ৯২ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৮ টাকা দিলো ওয়ালটন।
রোববার দিনের শুরুতেই করপোরেট অফিস, হেডকোয়ার্টারসহ দেশ-বিদেশে ওয়ালটনের সব অফিস এবং সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলোতে বেলুন উড়ানো এবং শ্বেত কপোত অবমুক্ত করা হয়। কাটা হয় বিশালাকার কেক। সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ র্যালি। এছাড়া বৃক্ষরোপনসহ নানান সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে ওয়ালটন পরিবার দিনটি উদযাপন করে।
ওয়ালটন ডে উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশের অগণিত ক্রেতা-শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানান এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালের ২০ মার্চ ওয়ালটন ছিলো খুবই ক্ষুদ্র। আজকে ওয়ালটন মহীরুহ। দেশে এবং বিদেশে ওয়ালটনের স্বদ্বীপ্ত পদচারণা। ওয়ালটনের এ উত্থানের পেছনে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সদস্য এবং ক্রেতা-শুভানুধ্যায়ীদের অবদান। দেশে আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি। বিশ্ববাজারেও আমাদের অফুরান সুযোগ রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মতো বিশ্ববাসীর মন জয় করতে সক্ষম হবেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, গৌরব ও সাফল্যের পথ ধরে ওয়ালটন আজ দেশের সর্ববৃৎ ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতিবিম্ব ওয়ালটন। আমাদের প্রচেষ্ঠা ওয়ালটনকে একটি সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ওয়ালটনে কর্মরত সবাই মিলে একটি পরিবার। এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের একাগ্রতা, দৃঢ়তা ও সাহসী পদক্ষেপেই ওয়ালটন বিশ্বের বুকে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
তিনি ২০২২ সালকে ওয়ালটনের ‘ইফিশিয়েন্ট ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করেন। সে সময় তিনি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, শোয়েব হোসেন নোবেল, হুমায়ূন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান প্রমুখ।