ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করার নামে প্রতারণা করছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। ভার্চুয়াল র্যাম বাড়ানোর ফলে বেটার গেমিং পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে বলে প্রচারনা করছে স্যামসাং। যেটা আসলে একধরনের প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। এতে করে ফোনের দাম বাড়িয়ে ক্রেতার সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।
দেশের অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে এক্সটেন্ডেড ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাপক হারে। কিন্তু অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের এক্সটেন্ডেড র্যাম কি আসলেও কোনো কাজে আসে? নাকি শুধু বিপনন প্রচারণা? সাধারনভাবে ধারণা করা হয় এক্সট্রা র্যাম ফোনকে আরো ফাস্ট করছে। এজন্য ফোনের দামও বাড়তি হয়। আসলেও কি আমরা লাভবান হচ্ছি?
স্মাটফোন বিশেষজ্ঞরা বলছে, স্টোরেজ যতবেশি ফাস্টই হোক না কেন তা কখনোই ফিজিক্যাল র্যামের মত পারফমেন্স দিতে পারবেন না । ফোনের ভার্চুয়াল র্যাম কে কখনোই ফিজিক্যাল র্যামের মত ব্যবহার করতে পারবেন না । ফোনের ভার্চুয়াল র্যাম ব্যবহারের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে ।
ভার্চুয়াল র্যাম মূলত: ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রান করা যায় স্মুথ ভাবে। কিন্তু দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান এই ফোন আনছে তারা এই র্যাম বাড়ানোর ফলে বেটার গেমিং পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে বলে প্রচার করছে। যা ক্রেতাদের সাথে একধরনের প্রতারণা করা। সাধারন ব্রাউজিং বা ফোন ব্যবহারের গতি বাড়ালেও গেইমিং এ কোনো এক্সট্রা এফপিএস পাওয়া যাবে না। ভার্চুয়াল র্যাম কাজে লাগে মুলত: পুরোনো প্রযুক্তির স্লো ফোনগুলোকে ফাস্ট করতে।
এছাড়া ভার্চুয়াল র্যামের ক্ষতিকর দিক আছে। কেননা অ্যান্ড্রোয়েড ফোনের যেই স্টোরেজ আছে সেগুলোর লিমিটেড লাইফস্প্যান থাকে। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট রাইট/রিরাইট করার হার থাকে। ফলে দেখা গেছে, এক্সটেন্ডেড ভার্চুয়াল র্যাম কাজে না আসলেও বেশি ব্যবহারের কারণে অতিরিক্ত সোয়াপিং এবং রাইট/রিরাইটের মাধ্যমে ফোনের স্টোরেজ লাইফস্প্যান কমিয়ে দেয় ।