শো-রুমে নকল পণ্য বিক্রির অভিযোগে কুমিল্লায় র্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ক্রেতা।
সোমবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্বাস উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলার বাসিন্দা হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার।
বাদীর আইনজীবী আঁখি মাহমুদ জানান, সনি-র্যাংগসের কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা শো-রুম থেকে পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আঁখি মাহমুদ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন র্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের এমডি জে এম একরাম হোসেন, জিএম (বিক্রয় ও বিপণন) জানে আলম, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং) মো. ওমর ফারুক, কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা শো-রুমের কর্মকর্তা কামরুল হাসান ও নিজাম উদ্দিন।
মামলার বাদী শিল্পী আক্তার বলেন, “আমি প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন পেজে মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ মডেলের একটি ফ্রিজ দেখে গত ১৪ মার্চ ঝাউতলা শো-রুমে ফ্রিজটি কিনতে যাই। এর আগে শো-রুমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়। তারা আমাকে নিশ্চিত করেন এটি মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। কিন্তু শো-রুমে গিয়ে দেখি সেই ফ্রিজের গায়ে কোনো লোগো বা স্টিকার নেই। পরে এর কারণ জানতে চাইলে কর্মচারীরা হাতে লোগো লাগিয়ে দেন।”
শিল্পী আরও বলেন, “শো-রুমের লোকজন আসল পণ্য বলে বিভিন্নভাবে আমাকে বুঝিয়ে ফ্রিজটি বিক্রি করেন। আমি বাড়ি আসার পর আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফ্রিজটি আসল নয় বলে সন্দেহ করলে একাধিক ফ্রিজ টেকনিশিয়ান ডাকলে তারা দেখে ফ্রিজটি নকল ও লোকাল পণ্য বলে জানান। এরপর আমি ফ্রিজটি ফেরত দিতে গেলে শো-রুমের লোকজন পণ্য ফেরত নিতে রাজি হয়নি।”
আর কেউ যেন এভাবে প্রতারিত না হয় তাই তিনি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সনি-র্যাংগসের কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা শো-রুমের কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, “ওই ক্রেতার অভিযোগ ছিল মেইড ইন মালয়েশিয়া খোদাই করে লেখা নেই কেন। এজন্য তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। আমাদের ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে এটি মালয়েশিয়ার তৈরি আসল ক্যালভিনেটর ২৭৯ মডেলের ফ্রিজ। তাই আমরা এটিই বিক্রি করেছি। যদি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তাহলে আমরা এই বিষয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত। আমরা কোনো নকল পণ্য বিক্রি করিনি।”