তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী তুরস্ক। সম্প্রতি (২১ মার্চ, ২০২২) রাজধানীর বারিধারায় তুরস্কের দূতাবাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদের মধ্যে এক বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানানো হয়।
বৈঠকে রাসেল টি আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তিকে ২০২২ সালের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেসিস ভবিষ্যৎ উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বিদেশী বাজার সম্প্রসারণ, পুঁজি ও আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা বৃদ্ধি, স্টার্টআপের জন্য একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করা, ইনট্যাঞ্জিবল অ্যাসেট বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য নীতি প্রণয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রচার এই সাতটি স্তম্ভের উপর ফোকাস করে আইসিটি শিল্পের উৎকর্ষ সাধনের জন্য কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও বেসিস আইসিটি খাতে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩১ সালের মধ্যে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাজ করছে।
বৈঠকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সমৃদ্ধকরণে বেসিসকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। তিনি জানান, তুরস্ক বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচমেকিং সেশন, রোড শো এবং পরবর্তী বেসিস সফটএক্সপোতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী। এছাড়াও তিনি স্টার্টআপ ইস্তাম্বুলের সাথে বেসিসের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন, যা তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ হাব যেখানে এই অঞ্চলের প্রতিষ্ঠাতা, বিনিয়োগকারী ও নির্বাহীদের একত্রিত করে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি, বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম-সচিব এনামুল হাফিজ লতিফী, সহকারি ব্যবস্থাপক (ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন) নাদিয়া তাবাসসুম প্রমুখ।