বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে দারাজ কর্মীদের প্রিয় কর্মস্থলে হিসেবে পরিণত হয়েছে। কর্মীদের আরো সুবিধা দিতে, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের সাথে সম্প্রতি চুক্তি করেছে দারাজ বাংলাদেশ। এ চুক্তির ফলে, দারাজের পূর্ণকালীন কর্মীরা এক্সক্লুসিভ জীবন বীমা ও স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
এ চুক্তিটি দারাজে কর্মরত প্রত্যেক পূর্ণকালীন সদস্য, তাদের স্ত্রী এবং শিশুদের যেকোন স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রেক্ষিতে উন্নত আর্থিক সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ রফিকুল আলম ভূঁইয়া নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত দারাজ এবং হাংরিনাকির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন – মোঃ মাহবুব হাসান (সিএফও), মোহাম্মদ রিয়াদ হোসেন (সিএইচআরও), এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো (সিসিএও), ফারহানা রফিক উজ্জামান (সিসিআরও), সাব্বির হোসেন (সিসিও), তাহমিনা ফেরদৌসী (সিওও, হাংরিনাকি) ), মাশরুর হাসান মিম (সিএমও, হাংরিনাকি), নাফিজ ইমতিয়াজ (হেড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এন্ড সিকিউরিটি), কামরান হোসেন নবীন (হেড অফ ট্রাফিক অপারেশনস), মোঃ মঞ্জুর আলম (হেড অফ প্রকিউরমেন্ট), সৈয়দ আবদুল্লাহ মোরশেদ (হেড অফ এইচআর অপারেশনস), আবু হেনা মোস্তফা মাহমুদ রুমি (হেড অফ ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন) এবং শায়লা আক্তার তমা (এইচআর অপারেশনস)। প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে মীর মোঃ শফিউল আলম কমল (সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট) ও সাঈদ হাসান রুবেল (সহ-সভাপতি) অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দারাজের এমডি সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, “দারাজের কর্মীরাই আমাদের মূল চালিকা শক্তি। তাদের ছাড়া আমাদের একদিনও কার্যক্রম চালানো সম্ভব না। এ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দারাজ সবসময়ই কর্মীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে, আমাদের প্রিয় কর্মীদের স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। এ উদ্যোগে আমাদের সঙ্গী হওয়ার জন্য আমি প্রগতি ইন্স্যুরেন্সকে ধন্যবাদ জানাই।”
দারাজের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার রিয়াদ হোসাইন বলেন, “গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স ও হসপিটালাইজেশন সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে আমরা খুব সহজেই দক্ষ কর্মী নিয়োগ ও তাদের ধরে রাখতে পারবো। এ সুবিধাটি কর্মীদের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে তুলতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমাদের কর্মীরাই আমাদের ব্যবসাকে সামনে এগিয়ে নিবে। কর্মীদের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও আমাদের চিন্তা করতে হবে।”
এ নিয়ে দারাজের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান বলেন, “আমাদের জীবন খুবই অনিশ্চিত। এ অনিশ্চিত জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবসময়ই বিকল্প ভেবে রাখতে হবে। দেশের সামনের সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্মীদের মূল্যবান জীবনের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় দারাজ নিজ থেকে এগিয়ে এসেছে। এ বিমা সুবিধা আমাদের সকল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।”
জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়টি জানতে পেরে দারাজের প্রধান কার্যালয় ও দারাজ বাংলাদেশের অন্যান্য কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এ বিষয়টি তাদের চাকরির সন্তষ্টি ও পেশাদারিত্বকে উন্নত করবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।