জামালপুরে রেলওয়ের নতুন অ্যাপের কারিশমায় বিনামূল্যে ট্রেনের টিকেট পেয়েছেন দুই যাত্রী। এ বিষয়ে শাহরিয়ার আবির (২২) নামে এক তরুণ বিষয়টি নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এমন আরও একটি টিকিটের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
টিকিট ক্রেতা শাহরিয়ার আবিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি রাজধানীর সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ময়মনসিংহ শহরে। সোমবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে সময় ২৩.২৭ মিনিটে তার নিকটাত্মীয়ের জন্য জামালপুর থেকে ঢাকাগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অনলাইন থেকে একটি টিকিট কাটেন। যার সরকারি মূল্য ভ্যাটসহ ৩৮৬ টাকা (অনলাইন সার্ভিস চার্জসহ ৪০৬ টাকা)। টিকিট কাটার পরই তিনি দেখতে পান তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টাকাই কাটা হয়নি। কিন্তু যথারীতি তার নামে একটি আসনও (স্নিগ্ধা খ বগি আসন ২৮, টিকিট নম্বর ডিএইচকে-০০০২০৫৫৭) বরাদ্দ হয়ে যায়। এছাড়া টিকিটটি তিনি জামালপুর স্টেশন থেকে ক্রয় করার জন্য অনলাইনের অপশন সিলেক্ট করলেও তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয় সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি স্টেশন থেকে। অথচ নিয়মানুযায়ী রেল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে তারাকান্দি রেল স্টেশনে এর আগে কোনো টিকিটই বরাদ্দ রাখেনি।
অপরদিকে একই ট্রেনের একই বগিতে মো. ইমরান হোসেন সোহান নামে আরও এক যাত্রী অনলাইনে টিকিট কাটলে বিকাশ থেকে মাত্র ২০ টাকা কাটা হয়। যার টিকিট নম্বর ‘এসএসআই ০০০০১৩৬৬’।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, সফটওয়্যারের তথ্যগত ভুলের কারণে এমনটি হতে পারে, বিষয়টি আমিও জেনেছি। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। সারাদেশেই কিছুকিছু জায়গায় এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
গত ২৬ মার্চ রেল কর্তৃপক্ষ অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনার জন্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘সহজ ডটকম’কে দায়িত্ব দেয়। এটি আগে ছিল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএস) ব্যবস্থাপনায়। রেলের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করতে বেশকিছু সময় লাগে। তাই পুরোপুরি সেবা নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগবে।
তবে এমন টিকিট যারা কিনেছেন তারা ওই টিকিট দিয়ে ট্রেনে যাত্রা করতে পারবেন না বলেও তিনি জানান।