রাশিয়ার প্রযুক্তি খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বৃহত্তম চিপ নির্মাতা এবং মাইক্রোইলেকট্রনিক্স রপ্তানিকারক কোম্পানি মাইক্রনও রয়েছে এর আওতায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সর্বশেষ এই নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য রাশিয়ার প্রযুক্তি শিল্প, আগের অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটাতে ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক এবং রুশ হ্যাকাররা।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ বিভাগ।
অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই অর্থহীন ও আরোপিত যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা পুতিনের ওয়ার মেশিনকে টার্গেট করা অব্যাহত রাখব।”
এ পর্যন্ত রাশিয়ার ২১টি প্রতিষ্ঠান এবং ১৩ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ। সামনে আরও তিনটি খাতে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মহাকাশ, সামুদ্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স খাতে কাজ করছে- রাশিয়ার এমন যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর আওতায় আসেতে পারে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-খণ্ডে থাকা সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ওই রুশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের সঙ্গে লেনদেনও করতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও আছে মস্কোভিত্তিক কোম্পানি ‘সের্নিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং’ এবং যন্ত্রাংশ নির্মাতা ‘সের্টাল’। তাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক খাতে ব্যবহারের কথা বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতের জন্য বেআইনি প্রক্রিয়ায় যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি কেনার অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
ওই দুই কোম্পানিসহ অন্য যে প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আরোপিত অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা পাশা কাটানোর নেটওয়ার্কের অংশ ছিল বলে ওয়াশিংটনের ভাষ্য।
সর্বাশেষ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাস কিংবা মাইক্রন। ‘সের্নিয়া’ কিংবা ‘সের্টাল’-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি বার্তাসংস্থাটি।