সাইবার টুলস ও সাইবার সল্যুশনে রিসিপিয়েন্ট কান্ট্রি (গ্রাহক দেশ) হিসেবে থাকতে চায় না বাংলাদেশ। সরকার-একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে সাইবার টুলস ও সাইবার সল্যুশনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে কাজ করা হচ্ছে। এমনটি জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ রোববার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) দেশের প্রথম ‘সাইবার রেঞ্জ’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ‘এ লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডাস্ট্রিকে সহযোগিতায়, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশনায় সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস ও মাইক্রো প্রসেসিং ডিজাইন—এ চারটি ডোমেইনে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আইসিটি বিভাগ।’
পলক বলেন, ‘বিশ্বে ২০২১ সালে ৩৫ লাখ সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের চাহিদা ছিল। এসব এক্সপার্টের চাহিদা পূরণে আইসিটি বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থাকবে। এ জন্য সিএসইর পাশাপাশি কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিষয় চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নজর দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগটা কাজে লাগালে আমাদের বৈদেশিক আয় ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে বেগ পেতে হবে না। আমি তখনই আনন্দিত ও সন্তুষ্ট হব যখন আমি দেখব এমআইএসটি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সারা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেবে। ওয়াল অব ফেমে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের নাম স্থান পাবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— এমআইএসটির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ডেটা অ্যানালিটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে এমআইএসটির কমান্ড্যান্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।