ব্যাটারি মোবাইল ফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এর আয়ু শেষ হয়ে গেলে মোবাইল ফোন চালু করা যায় না। তাই ব্যাটারির যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ফোনের ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ব্যাটারির আয়ু। এখানে ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়া হলো।
১. সবচেয়ে ভালো উপায়টা হচ্ছে ফোনটি সুইচ অফ করে চার্জ দেওয়া । এতে চার্জ দ্রুত হয় এবং ব্যাটারির আয়ুও বাড়ে।
২. ব্যাটারির প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। স্মার্টফোনের ব্যাটারি পুরো ডিসচার্জ হলেই নতুন করে চার্জ দেওয়া উচিত এ ধারণাটি ভুল। ফোনের ব্যাটারির চার্জ ৮০-৯০ শতাংশ নেমে এলে চার্জ দিতে পারলে ভালো। তবে আরও কম পরিমাণে চার্জ নেমে এলেও খুব একটা সমস্যা নেই। আর মাসে অন্তত এক দিন ব্যাটারি পুরো ডিসচার্জ করা যেতে পারে।
৩. একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ফোনকে শতভাগ চার্জ না দেওয়াই ভালো। এতে করে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে। ৯৫ শতাংশ চার্জ হলেই চার্জার থেকে খুলে রাখা ভালো।
৪. কিছু কিছু ব্যক্তি ফোনে চার্জ দেওয়া অবস্থায় কথা বলেন কিংবা গেমস খেলেন। এমনটা করা ঠিক নয়। এতে ব্যাটারির বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি ব্যাটারির আয়ুও কমে।
৫. ব্যাটারি তাপ শোষণ করে বেশি গরম হয়ে যেতে পারে, এ রকম পরিবেশ না রাখাই ভালো। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কেন্দ্রে থাকা রাসায়নিক পদার্থ খুব বেশি বা খুব কম তাপমাত্রার ক্ষেত্রে বাজে পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তাই ফোনকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত।
৬. কত দিন একটি ব্যাটারি সেবা দিতে পারবে, সেটি নির্ধারণ করে দেয় এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদান। ফলে বলা যায় প্রতিটি ব্যাটারির নির্দিষ্ট জীবনকাল আছে। মনে রাখবেন, প্রতিবার শতভাগ চার্জ আর পুরোপুরি ব্যবহার ব্যাটারির জীবনকালকে সীমিত করে ফেলে।
৭. বারবার চার্জ না দিয়ে একবার চার্জ করে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত। কিছু বিষয়ের দিকে একটু নজর দিলে চার্জ কম খরচ করেও দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করা যায়।
৮. মোবাইল স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন। এতে ব্যাটারির চার্জ কম খরচ হয়।
৯. ফোনের স্পিকারের পরিবর্তে হেডফোন দিয়ে ভিডিও দেখা ও অডিও শোনা ভালো। এতে ব্যাটারির চার্জ কম খরচ হয়।
এভাবে ব্যাটারির দিকে কিছুটা মনোযোগী হয়ে ব্যবহার করলে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘ হবে।