চীনভিত্তিক শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লেই জুনকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের বেশি বোনাস দেয়া হয়েছে। গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ অর্থ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কোম্পানিটি। খবর বিবিসি।
এর আগে শাওমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আট বছর কোম্পানিতে ‘অবদান’ রাখার স্বীকৃতি হিসেবে লেই জুনকে শেয়ারভিত্তিক বোনাস দেয়া হবে। সে অনুযায়ী লেই জুনকে ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ শেয়ারের মূল্য ধরে বোনাস দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিনের সর্বশেষ লেনদেনে ওঠা মূল্য অনুযায়ী লেইয়ের জন্য নির্ধারিত শেয়ারগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী লেইয়ের বোনাসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৩ কোটি ৫৬ লাখ পাউন্ড।
লেইয়ের পাওয়া বোনাসের পরিমাণ গত বছর শাওমির সমন্বয়কৃত ৯৮ কোটি পাউন্ড নিট মুনাফার তুলনায় খুব একটা কম নয়। শেয়ার স্থানান্তরের সঙ্গে সঙ্গে লেইকে বেতন এবং অন্যান্য লভ্যাংশও পরিশোধ করেছে শাওমি। তবে এর আর্থিক পরিমাণ সম্পর্কে জানানো হয়নি।
মাত্র নয় বছর আগে যাত্রা করা শাওমি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালে বেইজিংভিত্তিক শাওমি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে অবস্থান করে নেয়। বাকি শীর্ষ তিন কোম্পানি ছিল স্যামসাং, অ্যাপল ও হুয়াওয়ে।
আইডিসি আরো জানিয়েছে, স্মার্টফোনের সামগ্রিক বাজার যখন ৪ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়, তখনো শাওমির হ্যান্ডসেটের রফতানিতে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গেছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর শাওমির হ্যান্ডসেট সরবরাহ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ।
শাওমির বয়স নয় বছর হলেও কোম্পানিটি গত নভেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের বাজারে ফোন বিক্রি শুরু করেছে। এ বাজারে ফোন ছাড়াও ইলেকট্রিক স্কুটার ও ফিটনেস ট্র্যাকিং রিস্টব্যান্ডের মতো অন্যান্য পণ্যও বিক্রি করছে শাওমি। আর দেশের বাজারে শাওমি আরো অনেক ধরনের পণ্য বিক্রি করে থাকে। এর মধ্যে ওয়্যারলেস ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, সুয়েপিং রোবট ও স্মার্ট রানিং শো।