দেশের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার বছরে ৫০ কোটি ডলার রেমিটেন্স দেশে আনছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান । দেশের উন্নয়নে তারা অনেক অবদান রাখছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশে গঠনে অনেক কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সারা বেশি বেশি আয় করছে। তাদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধি হচ্ছে। যার অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে ‘বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সােসাইটি’ (বিএফডিএস) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকার নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে- এটা বড় অর্জন। বর্তমান সরকার এ ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক মেধাবী, স্মার্ট, তারা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি করতে পারবে। সরকারের দায়িত্ব তরুণদের কাজের সুযােগ করে দেওয়া। ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়েছে সরকার। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ ছিল।
অনুষ্ঠানে বিএফডিএসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন জয় বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের সুখে-দুঃখে সবসময় আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের জীবনমান উন্নয়নসহ মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে চলেছে বিএফডিএস।
সভাপতির বক্তব্যে বিএফডিএসের চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছে। ঘরে বসে নারীরাও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে। বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কর্মরত এই রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিএফডিএস এসব সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, আর্থিক, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বাধাগুলাে নিরসনে সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, আমরা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আলাদা ম্যাটিক্স কার্ড করেছি। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নানা সুযোগ-সুবিধা পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, আমরা ঘরে ঘরে চাকরি দিতে পারবো না। তবে ঘরে ঘরে ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে পারবো। এদের উন্নয়নে নানা ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবো।