বৃহস্পতিবার ভররতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগারতলায় স্থাপিত হোটেল পোলে টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট ২০২২’। ডিজিটাল বাংলদেশ টু স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারি হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ।
আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং আগরতলা হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি অবস্থিত ছিলেন তথ্য-সংস্কৃতি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, জেল এবং অগ্নি, কল্যাণ মন্ত্রী রাম প্রাসাদ পাল এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
সভাপতির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দেশে স্কুল পর্যায়ে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা, ৩০০ স্কুল অব ফিউচার, ৪৩টি হাইটেক পার্ক, ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা, রোবটিকস, এআর/ভিআর, ব্লকচেইনসহ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে প্রশিক্ষত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বিশেষায়িত ল্যাব, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি তাদের নিকট তুলে ধরেন।
তিনি আরো জানান বিগত মাত্র ১৩ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করেছেন।
তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল লক্ষ বর্তমানে কোটির অধিক। মোবাইল ফোনের সংযোগের সংখ্যা ১৭কোটি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যথাযথ অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে করোনা কালীন দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বিনোদন, আদালত ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন ভারত সবসময় আমাদের পাশে ছিল উল্লেখ করে বলেন করোনা মহামারী কালীন ডিজিটাল ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে ১০০ টি আম্বুলান্স ,অক্সিজেন ও ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়ে প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আইটি সেক্টরের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে হাইটেক পার্ক সমূহে বিনিয়োগ করতে ভারতের আইটি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।