২০১৮ সালের ১১ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইট জগতে নাম লেখায় বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। সে সময় বলা হয়েছিল, ৭ বছরের মধ্যে এ টাকা উঠে আসবে। পরবর্তীতে আরও আয় করা যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করে আয়ের স্বপ্নও দেখেছিল বাংলাদেশ।
ব্যয় উঠে আসার সম্ভাব্য ৭ বছরের মধ্যে ৪ বছর চলে গেলেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্প থেকে এখনও আয়ের মুখ দেখা হয়নি। এমন তথ্য উঠে এসেছে বিসিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে।
সেখানে বলা হয়েছে, শুরুর ৩ বছর স্যাটেলাইটটি থেকে কোন আয় করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই খরচ তুলতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সে সময় বাড়বে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করতে না পারাসহ নানা কারণে প্রথম ৩ বছর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে আয় করতে সক্ষম হয়নি বাংলাদেশ। তবে বর্তমানে স্যাটেলাইট ব্যবহারের নানা সেক্টর তৈরি হওয়ায় আমরা আয়ের খাতা খুলতে শুরু করেছে।
এনিয়ে কথা বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারও। তিনি বলেন, কেবলমাত্র ব্যবসাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না।
শনিবার, ১৪ মে ময়মনসিংহে আইএসপিএবির আঞ্চলিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় আমাদের বলা হতো তলাবিহীন ঝুঁড়ির দেশ। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্ব দেখেছে আমরা তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নই। পাশাপাশি আগে স্যাটেলাইট না থাকার দরুণ সম্প্রচার বাবদ অর্থ দেশের বাহিরে চলে যেত, এখন তা দেশেই থাকছে।