বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অগ্রিম ক্রয়াদেশ (প্রি-অর্ডার) নেওয়া শুরু করেছে বহুল আলোচিত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিকভাবে এগোলে ২০২৩ সাল নাগাদ সেবা চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মহাকাশ থেকে লো লেটেন্সির ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিঙ্ক। বিশ্বের অনেক দেশের গ্রাহক এরই মধ্যে স্টারলিঙ্কের রাউটারের ব্যবহার শুরু করেছেন। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনসহ বিশ্বের ৩২টি দেশে এর ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু রয়েছে। সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনেও ইন্টারনেট সেবাদান শুরু করেছে স্টারলিঙ্ক। এর গ্রাহকসংখ্যা এরই মধ্যে ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
এবার স্টারলিঙ্কের রাউটার কেনার জন্য আগাম অর্ডার করা যাবে বাংলাদেশ থেকেও। সম্প্রতি স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে ডিভাইসের অর্ডার নেওয়া শুরু হয়। ৯৯ ডলার ডিপোজিট করে যে কেউ অর্ডার করতে পারবেন।
স্টারলিঙ্ক আশা করছে, ২০২৩ সালেই তারা বাংলাদেশে সেবা চালু করতে পারবে। তবে যেহেতু বাংলাদেশে অনুমোদনের কিছু বিষয় আছে, সে ক্ষেত্রে তারা যদি সেবা চালু করতে না পারে, তবে স্টারলিঙ্কের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে: ডিপোজিটের পুরো অর্থই গ্রাহক ফেরত পাবেন।
স্পেসএক্সের সহপ্রতিষ্ঠান স্টারলিঙ্ক পৃথিবীর দ্রুত বিকাশমান বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি, যাদের লক্ষ্য পৃথিবীর লো-অরবিটে থাকা স্যাটেলাইট থেকে বিশ্বব্যাপী লো লেটেন্সির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা। স্টারলিঙ্ক তার বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে, খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরিতে সক্ষম হবে।
ইউক্রেনে চলমান রুশ অভিযানে দেশটির ইন্টারনেট ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর জরুরি ইন্টারনেট সেবার জন্য ইলন মাস্কের কাছে সাহায্য চায় দেশটির সরকার। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউক্রেনের ইন্টারনেট সেবাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সক্রিয় করেন ইলন মাস্ক।