এই যুগে কার কত ফলোয়ার, তা নিয়েও চলে অলিখিত যুদ্ধ। অনেকের কাছে এটা উপার্জনেরও বড় মাধ্যম। অবশ্য এসব ফলোয়ারদের উল্লেখযোগ্য অংশই থাকে ভুয়া। সম্প্রতি টেসলা বস ইলন মাস্কের টুইটার কেনার উদ্যোগের মধ্যে নতুন করে এই আলোচনা উঠে এসেছে। ভুয়া ফলোয়ারের বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে সফটওয়্যার সংস্থা স্পার্কটোরো। খবর নিউজউইক।
সফটওয়্যার সংস্থাটি জানিয়েছে চমকপ্রদ তথ্য। তারা বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের টুইটারে যে ২ কোটি ২০ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকই ভুয়া। এই গ্রহের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কও এর বাইরে নন। তার ফলোয়ারের অর্ধেকের বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্টধারী।
স্পার্কটোরোর দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ফলোয়ারদের মধ্যে ৪৯.৩ শতাংশ অ্যাকাউন্টই ভুয়ো। মূলত অ্যাকাউন্টগুলো কোন জায়গা থেকে খোলা হয়েছে, সেগুলোর প্রোফাইল ছবি, নতুন বা পুরনো ইত্যাদি নানা মাপকাঠিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বা যেগুলোর দীর্ঘদিন কোনো ব্যবহার নেই, সেগুলোকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্পার্কটোরো।
স্পার্কটোরো সমীক্ষা চালিয়েছে টেসলা মালিক ইলন মাস্কের ব্যাপারেও। সেখানে দেখা গেছে, তার ফলোয়ারদের মধ্যে ৫৩.৩ শতাংশ অ্যাকাউন্ট ভুয়া। সংস্থাটির দাবি, তাদের এই পরিষেবা ব্যবহার করে যে কোনো টুইটার ব্যবহারকারীই জানতে পারবেন, তার ফলোয়ারদের মধ্যে কতগুলো ভুয়া, কতগুলো সঠিক।
উল্লেখ্য, টুইটারের ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে ইলন মাস্ক ও টুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে কিছু ঝামেলা চলছে। ভুয়া অ্যাকাউন্টের সমস্যা নিয়ে মাস্ক বরাবরই সরব। তিনি বহুবার সেগুলো বন্ধের কথা বলেছেন।
সম্প্রতি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মাস্ক। কিন্তু পরে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বিতর্কে টুইটার ‘সত্য গোপন করেছে’ দাবি করে চুক্তি স্থগিত রাখেন তিনি। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল জানিয়েছিলেন, টুইটারে জাল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দৈনিক ব্যবহারকারীর ৫ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে মাস্কের মতে কোনোভাবেই এটা ২০ শতাংশের কম নয়।