সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি করা দেশের প্রথম এবং একমাত্র বাংলা সার্চ ইঞ্জিন ‘পিপীলিকা’ (www.pipilika.com)।
২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল যাত্রা শুরু হওয়া বিশ্বের প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করে হৈ চৈ ফেলে দেয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন তরুণ। দেখতে দেখতে ছয়টি বছর অতিবাহিত করে সাত বছরে পা রাখলো এই সার্চ ইঞ্জিনটি।
মূলত শাবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রকল্প থেকেই ২০০৯ সালে পিপীলিকার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে পিপীলিকায় টিম মেম্বার ৭জন। এদের ৬জন শাবির সিএসই বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচ এর পাশ করা শিক্ষার্থী এবং ১জন বেসরকারি মেট্রোপলিট্রন ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা সাবেক শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা ডটকম অনলাইনে বাংলা ভাষার প্লাটফর্ম মজবুত করতে বরাবরের মতই কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ২০১৬ তে নতুন ভাবে ছয়টি সেবা যুক্ত করা হয় এই সার্চ ইঞ্জিনে। ‘যুক্ত হওয়া ফিচারগুলো হল পিপীলিকা সাম্প্রতিক সংবাদ, পিপীলিকা লাইব্রেরি, পিপীলিকা কেনাকাটা, পিপীলিকা জব সার্চ, বাংলা বানান সংশোধনী ও শব্দ কল্প দ্রুম। এদের সবকয়টি এন্ড্রয়েড অ্যাপ হিসেবেও গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে।
দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেই ফিচারগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ফিচার তথ্যসমৃদ্ধ। একটি নির্দিষ্ট ফিচারে ঢুকলে সে সম্পর্কিত যেসব তথ্য, ঠিকানা আছে তা দেখা যাবে। টিম পিপীলিকা জানায়, আমরা যেসব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করি তারা আমাদের ডাটাগুলো জমিয়ে রাখে। সেখানে আমাদের ডাটাগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্ন থেকে যায়। একদিন এমন সময় আসবে যেদিন আমরা আমাদের ডাটাগুলো আমাদের দেশীয় সার্চ ইঞ্জিনে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবো।
বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের নিজেদের জন্য সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে। এছাড়া আমরা যেসব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করি, তা যদি একসময় পেইড সার্ভিস হয়ে যায় তখন আমাদের এই পিপীলিকা দেশীয় প্রোডাক্ট হিসেবে আমাদের পাশে দাঁড়াবে।
বাংলা ভাষায় মৌলিক গবেষণা, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, নিজেদের সার্ভিস এবং সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে টিম পিপীলিকা। মিশন হিসেবে বর্তমানে আমাদের সেবাগুলোর মাধ্যমে এর ব্যবহারকারী সংখ্যা বৃদ্ধি করা। আর ভিশন হিসেবে বাংলাদেশের পরিপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র লক্ষ্য।