চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নি-নির্বাপণে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির হাইটেক রোবট ব্যবহার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঢাকার একটি বিশেষজ্ঞ দল সোমবার (৬ জুন) সকালে পরীক্ষমূলকভাবে যন্ত্রটির ব্যবহার করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “প্রথমবারের মতো গত সোমবার সীতাকুণ্ডের আগুন নেভাতে একটি অটোমেটিক হাইটেক রোবট ব্যবহার করেছি আমরা। আমাদের দুটি রোবট রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ড্রোনও রয়েছে। আমাদের কাছে থাকা অটোমেটিক মেশিন ৩০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পানি ছিটাতে সক্ষম।”
কালুরঘাট স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বাহার উদ্দিন বলেন, “ঢাকা থেকে আসা অগ্নিনির্বাপণের বিশেষজ্ঞ দল ‘হ্যাজমট’ এই রোবট ব্যবহার করেছে। তারাই ঢাকা থেকে এই আধুনিক যন্ত্রটি নিয়ে আসে।”
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে প্রথমবার এই রোবট ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছিল সংস্থাটি। ২০১৯ সালে ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। করোনা মহামরির কারণে ক্রয় প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। বর্তমানে দেশে দুটি এলইউএফ-৬০ (LUF 60) রোবট রয়েছে।
হাইটেক রোবটটি প্রায় ছয় মাস আগে ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অস্ট্রিয়ান ওয়েবসাইট অনুসারে, এলইউএফ-৬০ মডেলের রোবটটি ধোঁয়া, তাপ এবং বিষাক্ত গ্যাস পরিষ্কার করে আগুনের তীব্রতা কমাতে পারে। প্রায় ৩০০ মিটার দূরে পর্যন্ত স্প্রে করতে পারে। যন্ত্রটি প্রতি মিনিটে ২,৪০০ লিটার পানি নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
এর আগে শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৪৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার ও দেড় শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিখোঁজ থাকা ২০ জনের সন্ধানে ডিএনএ টেস্টেও নমুনা দিয়েছেন তাদের পাঁচ স্বজন।
দুর্ঘটনায় এখনও ফায়ার সার্ভিসের ৩ কর্মী নিখোজ রয়েছে। কয়েকশ মানুষ দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।