ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা ডিজিটাল যুগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জনসাধারণের মধ্যে ইন্টারনেট সহজলভ্য এবং সকল মানুষকে ডিজিটাল সংযোগের আওতায় আনার মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে বাংলাদেশ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’
মন্ত্রী বুধবার রাতে ডিজিটাল প্লাটফর্ম-এ আইটিইউ ডব্লিউটিডিসি, রোয়ান্ডা আয়োজিত পার্টনার টু কানেক্ট ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট রাউন্ড টেবিলে, ডিজিটাল সংযোগ বিষয়ক অধিবেশনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশের দ্বীপ, চরাঞ্চল, পাহাড় ও হাওর অঞ্চলসহ দুর্গম এলাকাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন, দেশের অনগ্রসর এলাকায় প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষা চালু, দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ ও মোবাইল প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিজিটাল ডাকঘর স্থাপন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে দ্বীপ অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন, হাওর ও দ্বীপে উচ্চগতির মোবাইল ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রতিষ্ঠাসহ সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করতে সামাজিক দ্বায়বদ্বতা তহবিল কাজে লাগাতে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার জানান, দুর্গম অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দিতে ২৪৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে বাংলাদেশে কোনো মানুষ উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে দেশে আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অভাবনীয় অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করে মধুপুরের পাহাড়ে এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ডিজিাটাল সংযোগের ফলে মানুষের জীবনধারা বদলে গেছে বলে দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কর্মসূচি ডিজিটাল বিশ্ব বিনির্মাণে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র এ সময় তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশের ‘এক দেশ এক রেট’ নির্ধারণকে পুরো বিশ্বের জন্য একটি অনুকরণীয় বিষয় বলে উল্লেখ করেন।
রোয়ান্ডার ডিজিটাল অপরচুনিটি ট্রাস্টের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ভাইয়োলিট উয়ামুয়াতরার সঞ্চালনায় যুক্তরাষ্ট্র, মৌরিতানিয়া, বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, হন্ডুরাস, প্যারাগুয়েসহ বিশ্বের ১১টি দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন।