‘‘বর্তমান পৃথিবী কম্পিটিশনের না, কোলাবরেশনের। যত বেশি কোলাবরেশনের মাধ্যমে কাজ করা যাবে তত বেশি মানুষের জীবনকে সহজ করা যাবে। সে লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বর্তমানে যে সমন্বয়টা হচ্ছে সেখানে প্রাইভেট সেক্টরের পার্টনারশিপের সুযোগ রয়েছে। বিকাশ যদি সরকারি সেবাগুলোকে ‘গভর্মেন্ট অ্যাজ এ ক্লায়েন্ট’ হিসেবে নেয়, তাহলে আরও কোটি কোটি মানুষ সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।’’
সম্প্রতি শামসুদ্দিন হায়দার ডালিমের উপস্থাপনায় চ্যানেল আই-তে প্রচারিত ‘বিকাশ ডিজিটাল লাইফ’ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে কেবল শহরের নাগরিকরাই নয়, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত মানুষও ডিজিটাল জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। মানুষের জীবনযাত্রায় ডিজিটাল প্রযুক্তি একটা ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। তিনি মনে করেন, ১২ বছর আগে এই সরকারের নেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের উদ্যোগই আজকের এই ডিজিটাল অভ্যস্ততা তৈরির ভিত্তি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদানে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে ডিজিটাল সেবা।
বিকাশ অ্যাপ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিকাশের আধুনিকতম কাস্টমাইজড ও পারসনোলাইজড সল্যুউশন্স অনেক আর্কষণীয়। বিকাশ অ্যাপ একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দিয়েছে, বিকাশ শুধুমাত্র ‘পার্ট অফ ডিজিটাল লাইফস্টাইল’ না, একটা অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের নাম। ডেটা প্রটেকশনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সব মানদণ্ডকে অনুসরণ করে গ্রাহকের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বিকাশ।
২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশে বিকাশ অ্যাপ সুপার অ্যাপে পরিণত হবে এমন আশাবাদ রেখে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজকে যেমন ফেসবুক শুধু কমিউনিকেশন অ্যাপ নয়, একটা এন্টারটেইনমেন্ট হাব; অ্যামাজন যেমন শুধু ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্ম নয়, এন্টারটেইনমেন্ট থেকে শুরু করে পুরো লাইফস্টাইলের পার্ট; গুগল যেমন শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয়, একটা এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম; একই রকমভাবে বিকাশ একটা সুপার প্ল্যাটফর্ম এবং সুপার অ্যাপ এ পরিণত হবে। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে পরিণত করবো।
বিভিন্ন সেক্টরে সফল ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় চ্যানেল আই-তে শুরু হয়েছে ‘বিকাশ ডিজিটাল লাইফ’ প্রোগ্রামটি।