২০২২ সাল নাগাদ নিজস্ব ৫জি সেবায় একশ কোটি গ্রাহকের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে চায় সুইডিশ টেলিকম পণ্য নির্মাতা এরিকসন। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে চীন ও উত্তর আমেরিকা।
এরিকসন এই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে মঙ্গলবার। তবে, ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর বিশ্বব্যাপী তুলনামূলক দুর্বল অর্থনীতি এবং অনিশ্চয়তার কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ার কথা নিজেদের দ্বিবার্ষিক ‘মোবিলিটি রিপোর্টে’ উল্লেখ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
চীনের হুয়াওয়ে এবং ফিনল্যান্ডের নোকিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা এরিকসন বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ মোবাইল পণ্য সরবরাহক প্রতিষ্ঠান। এসব পণ্যের মধ্যে ৫জিও রয়েছে।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে এরিকসনের ৫জি গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি থেকে বেড়ে ৬২ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানটির ৪জি গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি থেকে বেড়ে ঠেকেছে প্রায় ৪৯০ কোটিতে।
৫জি বা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কে আগের প্রজন্মের নেটওয়ার্কের চেয়ে তুলনামূলক বেশি গতি পাওয়া যায়। নতুন এই নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা এমনভাবে ডিভাইস সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্বচালিত ড্রাইভিংয়ের মতো ফিচার আনার সুযোগ করে দিতে পারে।
২০২৭ সাল নাগাদ প্রায় ৪৪০ কোটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারে ৫জি। এ বছর ৪জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছালেও গ্রাহকরা ৫জি-তে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি কমে যাবে বলে উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনে।