বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। যারা সিনেমা, নাটক কিংবা ওয়েব সিরিজ দেখতে ভালোবাসেন তাদের কাছে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে এই প্ল্যাটফর্ম। মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২২ কোটি। আর এতেই বুঝায় যায় কতটা গ্রাহকবান্ধব এ প্রতিষ্ঠান।
তবে সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের জন্য দুসংবাদ আসতে শুরু করেছে। অনেকেই তাদের মেম্বারশিপ বাতিল করছেন। কারণ একটাই, পাসওয়ার্ড শেয়ারিংয়ের সুবিধা বন্ধ হওয়া।
নেটফ্লিক্স আগে পাসওয়ার্ড শেয়ারের সুযোগ দিতো। এর ফলে অনেকেই অর্থ শেয়ার করে যৌথভাবে ব্যবহার করতেন। এ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রাহক হারায় সংস্থাটি। তারপর অবশ্য অর্থের বিনিময়ে এই সুবিধা চালু করেছে। এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড শেয়ার করলে গুনতে হবে অতিরিক্ত অর্থ। তবে এই ফিচারটি এখনও গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।
এবার পাসওয়ার্ড শেয়ারিং ফিচারের অপব্যবহারের জন্য কড়াকড়ি ব্যবস্থা আনছে সংস্থাটি। সামান্য ভুলে একেবারের জন্য নেটফ্লিক্স একাউন্ট বাতিল হয়ে যাবে। মূলত তিনটি ভুলনকরলে চিরদিনের জন্য নেটফ্লিক্স একাউন্টটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।
পাসওয়ার্ড শেয়ারিং: পাসওয়ার্ড একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করার বিষয়টি একেবারেই অপছন্দ নেটফ্লিক্সের। পাসওয়ার্ড শেয়ারিং বন্ধ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নেটফ্লিক্স। কারণ চলিত বছর থেকে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই অন্য কারো সাথে পাসওয়ার্ড শেয়ার করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে একাউন্ট।
কপি করা যাবে না: নেটফ্লিক্সের নীতি অনুযায়ী কোনো কনটেন্টের কপি তৈরি করা যায় না। অর্থাৎ আর্কাইভ করে রাখা এবং তা থেকে ব্যবসা করা নিষিদ্ধ। এই আইন ভাঙলেও নেটফ্লিক্স তার গ্রাহকের একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে।
ভিপিএন ব্যবহার: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত কনটেন্ট রয়েছে নেটফ্লিক্সের। আপনি যদি ভিপিএন ব্যবহার করে অন্য দেশের কনটেন্ট দেখতে যান এবং ধরা পড়েন তাহলে প্রথমে নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো হবে ভিপিএন ব্যবহার বন্ধ করার জন্য। এই শর্ত না মানলে আপনার একাউন্ট বাতিল হতে পারে।
মূলত ভিপিএনের মাধ্যমে গ্রাহকের অবস্থান লুকিয়ে রাখা যায়। অর্থাৎ আপনি বাংলাদেশে বসে অন্য দেশের কনটেন্ট দেখতে পাবেন। এই বিষয়টিই একেবারে পছন্দ করে না নেটফ্লিক্স।